গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ৪)
৪র্থ পর্ব
৩য় পর্বের পর থেকে...............
রিয়া ওর মতো ভারি মেরে চলে গেলো,
আমি সেখানে বসে পড়লাম ব্যাথায়,
প্রচুর ব্যাথ্যা করতাছে,
দিরে দিরে আমার রুমে গেলাম,
গিয়ে, শার্ট টা তুলে দেখি ভারির আঘাতে ক্ষতটার শিলাই একটা খুলে গেছে।
কি করি এখন, নরতে ও পারছি না, যে ডাক্তার এর কাছে জাবো,
রক্ত পড়ছে প্রচুর,।
হাত দিয়ে চেপে দরলাম, যাতে রক্ত না পড়ে,
কিন্তু হাত দিয়ে চেপে দরলে, ব্যাথ্যা হয় বেশি,,
কোন মতে বিছানায় গিয়ে সুইলাম,
চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ব্যাথ্যায়,
আস্তে আস্তে ব্যাথ্যা টা কমতাছে,
ব্যাথ্যা কমছে,,আর আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছি,জানি না,
যখন আমার ঘুম ভাঙ্গে,তখন মোবাইল টা হাতে নেই,,
নিয়ে টাইম দেখে আমি অভাক, কেননা ১০ টার বেশি বাজে,
ওঠতে যাবো, কিন্তু সেই শক্তি টা পাচ্ছি
না,,
সুয়েই রইলাম আজ তাহলে অফিসে যেতে পারলাম না,,ম্যাডাম আবার কিছু বলবে না তো,,
খিদার কারনে শরিরে একটু ও শক্তি ও পাচ্ছি না।।।
দুপুর বেলা ছাদের কোনা তে বসে আছি,,
এই টাইম এ রিয়া বাসায় থাকে না, ভার্সিটি তে থাকে,
জানিনা এমন কি করছি রিয়ার সাথে, যে আমার সাথে এমন করে,
এখানে কি করছো এই দুপুর বেলা
আমি চেয়ে দেখি আংকেল আমাকে এই প্রশ্ন টি করলো,,
আমিঃনা মানে আংকেল কিছুনা, বসে রয়েছি,
আংকেলঃএই দুপুর বেলা রোদ এর মধ্যে বসে থাকতে ভালো লাগছে,
আমিঃএমনি আংকেল,এটা বলে রুমে চলে আমি,
রুমে এসে বসলাম,
অনামিকার জন্য কতো কি করলাম আর অনামিকা এখন সুখে আছে আর আমি কতোটা দূঃখে আছি,
একটুও বুজলোনা আমাকে, একবারো জানতে চাইলোনা কতোটা টাকা লাগছে, কোথা থেকে টাকা টা জোগার করছি, একটু ও জানতে চাইলো না,
চাকরি পাওয়া শেষে,তারিয়ে দিলো,
_--------------------
বিকালে ডাক্তার এর কাছে গেলাম
হাসপাতালে ডুকে ডাক্তার এর কাছে যেতে থাকি,,
অনামিকার সাথে দেখা যেনো না হয়,,
অনামিকা তো আমাকে দেখতে পারে না এখন,, সামনে পড়লে হয় তো আবার কথা শুনাবে,
আমি দিরে দিরে ডাক্তার এর কাছে যাই,
যখনি রুমে ডুকতে যাবো,
তখনি কেউ একজন সামনে পড়ে যায়,
তাকিয়ে দেখি অনামিকা,
আমি অনামিকার সামনে মাথা টা নিচু করে রইলাম,
অনামিকাঃআবার আপনি এখানে কোন কারনে আসছেন,
আমিঃ----------
অনামিকাঃআমাকে দেখতে আইছেন, তাই তো,নাকি আমার কাছে অন্য কোন কারনে আইছেন,
আমিঃ--------
অনামিকাঃকথা বলস না কেনো,
আমিঃসরি আমি আপনার কাছে আসি নি,
অনামিকাঃতাহলে কার কাছে আসছস,
আমিঃআপনার না জানলেউ চলবে,,
অানামিকাঃShut up একজন ডাক্তার এর সাথে কেমন করে কথা বলতে হয়,, জানেন না মনে হয়,,
এর পর। যদি
আমার কাছে আসিস, তাহলে তোকে খবর করে দিবো,,
ডাক্তারঃকি ব্যাপার কি হয়েছে এখানে,
অনামিকাঃদেখুন না স্যার, এই যে ছেলেটা আমাকে ডিস্টাব করে,
ডাক্তারঃআচ্ছা অনামিকা, আপনি আপনার কাজে যান, আমি দেখছি,
ডাক্তারঃআসুন আমার কাছে,
আমিঃজি বলে গেলাম,
ডাক্তারঃতা কিসের জন্য আসলেন, আর অনামিকা কে আপনি চিনেন
আমিঃনা চিনি না,
ডাক্তারঃকিসের জন্য আসছেন
আমিঃনা মানে কেমনে যে বলি, কথাটা
ডাক্তারঃআচ্ছা দেখি আপনার ক্ষত স্থান টা,
আমিঃহ্যা,,
ডাক্তারঃক্ষত স্থানে কিন্তু কোন কিছুর আঘার পেয়েছেন,
আমিঃহুম
ডাক্তারঃদেখি দেখি,
আমিঃশার্ট টা ওপর দিকে তুললাম,
ডাক্তারঃকি ব্যাপার এমন অবস্থা কেনো আপনার, এই ক্ষততে
আমিঃ------+
ডাক্তারঃকেমন করে হলো এটা,
আমিঃনা মানে,
ডাক্তারঃদেখুন যেটা বলবেন ক্লিয়ার করে বলুন,
আমিঃবারি লেগেছে এখানে
ডাক্তারঃহুম এখন দেখি,,আসুন আমার সাথে,
আমিঃকই,,
ডাক্তারঃএখানে এসে সুয়ে পড়েন,
আমিঃআমি গিয়ে সুইলাম,
ডাক্তারঃক্ষত স্থানটা দেখতাছে,,
দেখার পর মুখ টা ব্যাজার করে ফেললো,
আমি ওঠে পড়লাম,
ডাক্তারঃএমন করে কেমন আঘাত পেলেন এখানে,
আমিঃএকজন মেয়ে আঘাত করছে,
ডাক্তালঃআপনি যদি আর ৩ দিন এর মধ্য কিডনি প্রতিস্থাপন করেন তাহলে কিডনি টা ভালো থাকবে,,না হলে
আপনি যদি আরো সময় নেন তাহলে ক্ষত স্থানে কিডনি প্রতিস্তাপন করলে কিডনি একাই কিছুদিন এর মধ্যে নষ্ট হয়ে যাবে,
আমিঃকি বলেন এটা ডাক্তার
ডাক্তারঃহুম এটাই সত্যি আপনার এই ক্ষত জায়গায় কোন আঘাত যাতে না লাগে, আপনাকে বলছিলাম, তাহলে সমস্যা হবে,
আজ দেখলেন তো আপনার কতো বড় একটা বিপদ,
কিন্তু সমস্যা যে আরেক টা,
আমিঃকি,
ডাক্তালঃআপনি যদি ৩ দিন এর মধ্যে টাকাটা জোগার করলেও, আমাদের কাছে এখন কোন কিডনি নাই,
আমিঃ-----------
ডাক্তারঃআপনি এখন বাসায় যান, আমি চেষ্টা করবো,, কিডনি যোগার করতে,,আপনি টাকা জোগার করেন,
আমিঃআচ্ছা বলে,
রুম থেকে বাহির হই,
হাসপাতাল থেকে বারির হতে থাকি,
ডাক্তার এর কথা শুনে চোখ দিয়েপানি পড়ছে,
অনামিকাঃএই দাড়া
আমি আমার মতো যেতে থাকি,
দৌড় দিয়া আমার সামনে আসে,এসে সামনে দাড়িয়ে যায়,
অনামিকা চেয়ে দেখে যে আমি কান্না করছি,
অনামিকাঃভালোই তো অভিনয় করতে পারিস
আমিঃ------
অনামিকাঃকান্না কেনো করিস, আর আমার আশাটা করিস না,,
ডাক্তারঃকি ব্যাপার অনামিকা ওর সাথে এমন বিহেব করছেন কেনো,
অনামিকাঃনা কিছুনা, ছেলেটা আমাকে ডিষ্টাব করে,
আমিঃসেখান থেকে
চলে আসলাম,
অনামিকা এমন কেনো, একটুও বুজলোনা আমাকে,
শুধু অপমান টাই করে যায় এখন,,
এখন বড় লোক হয়ে আগে ডেমন অবস্থায়, যাদের সাথে মিসেছে তাদের কে বুলে গেছে,,
আমার কথা টা না হয় বাত দিলাম,
আমি বাসায় এসে পড়ি,
ওদিকে
ডাক্তারঃআপনি এমন করেন কেনো ছেলেটার সাথে,
সেদিন ও দেখলাম,এমন করতাছেন
অনামিকাঃআমাকে যে ডিস্টাব করে তার সাথে কেমন করবো,
ডাক্তারঃকি ডিস্টাব করছে,,আপনি কি ছেলেটাকে চিনেন,
অনামিকাঃনা,
ডাক্তারঃতাহলে আপনাকে কেমনে ডিস্টাব করে
অনামিকাঃ----------
ডাক্তারঃআপনি যানেন ছেলেটা কতোটা বিপদ এর মধ্য আছে,
অনামিকাঃজানা লাগবেনা আমার,,
ডাক্তারঃআপনি যেনে কি করবেন,,
আর ছেলেটার বউ টা তো তার কোন খোজ নেয় না,, যার জন্য আজ তার এমন অবস্থা
অনামিকাঃকি বলতে যান আপনি
ডাক্তারঃআপনি যার সাথে ঝগরা করলেন, সে তার বউ কে চাকরি নিয়ে দেয়,
তার কাছে টাকা ছিলো না বলে একটা কিডনি এই হাসপাতালে বিক্রি করে, তার পর সেই টাকা দিয়ে চাকরি নিয়ে দেয়,।
অনামিকাঃকিহহহহহহ
ডাক্তারঃহুম আমরা নিতে চাইছিলাম না,
কিন্তু অনেক অনুরোদের পর নিয়াছি,,ছেলেটা বলছিরো তার বউ চাকরি করে, তার এই কিডনি টা প্রতিস্তাপন করে দিবো,, কিন্তু এখন ছেলেটার খুজ নেও না,
এমন মেয়ে ও আছে দেশে,,
তাহলে,
অনামিকাঃকি সব বলছেন আপনি
ডাক্তারঃশুধু তাই না,
আর, ৩ দির এর মধ্যে যদি কিডনি প্রতিস্তাপন না হয়, তাহলে ছেলেটা ৪- কি ৫ মাস এর মধ্যে মারা যাবে,,
কারন আরেক টা কিডনি নষ্ট হওয়ার পর্যায়,রয়েছে,।আমি কথাটা ছেলেটাকে বলিনাই,যদি বলতাম তাহলে ছেলেটা কষ্ট পেতো,,আর না থেয়েই মারা যেতো
অনামিকাঃডাক্তার এর কথা শুনে বাহির দিকে দৌড় দেয়,
এসে জনিকে খুজতে থাকে, কিন্তু পায় না,
_---------_------------_-----
আমি বাসায় এসে পড়ি,
মাথা ভর্তি টেনশন,
কি করি ,,
ভালো লাগছেনা কিছু,কি করি,
অনামিকা তুমি আমাকে একটুও বুঝলেনা, তোমার জন্য কতোটা কি করছি আজ তুমি আমাকে সেই মতো অপমান করো,,
তুমি আজ হয়তো অনেক বড় হয়ে গেছো,,
কিন্তু একদিন আমাকে খুজবে পাবে না,
সেদিন হয়তো অন্য দুরে কোথাও চলে যাবো,,
এখন এই ৩ দিন এ টাকা কোথাই পাই
রিয়া মেয়েটা কেমন জানি,
শুধু মেরেই যায়,
কতো বড় একটা কাজ করে ফেললো,
বারির আঘাতে, এখন যদি কিডনি প্রতিস্তাপন না করি তাহলে, আর লাভ হবে না পরে করলে,
তার পরের দিন,
অফিসে গেলাম,
যাওয়া মাত্র
ম্যাডাম।এর ডাক পড়লো,
গেলাম ম্যাডাম এর কাছে,
ম্যাডামঃআপনি পেয়েছেন টা কি, বলেন তো,
আমিঃম্যাডামখুব অসুস্থ ছিলাম,
ম্যাডামঃআপনার কারনে আমাদের কতো গুলো সমস্যা হয়েছে
আমিঃসরি ম্যাডাম,তার জন্য
ম্যাডামঃসরি সরি সরি, so what sorry
আপনার সরি তে আমাদের সেই লোকসান টা ফিরে আসবেনা, না,
আমিঃ---------
ম্যাডামঃএই ফাইল গুলো করে আমাকে দিবেন,
আমিঃফাইল গুলো নিয়ে, সেখান থেকে আমার জায়গায় এসে পড়লাম
বৃষ্টিঃকি হয়েছে আপনার, এমন অবস্থা কেনো,,শরিরের
আমিঃকিছুনা বলে কাজ করতে থাকি,,
বিকালে ফাইল গুলো জমা দেই,
ম্যাডামঃশুনুন,এই ২ টা ফাইল কালকে সকালে ক এসে দিবেন,
ওকে,খুব প্রয়োজনিও ফাইল কিন্তু,
আমিঃওকে ম্যাড়াম
তারপর বাসায় এসে পড়ি
রাতে বসে বসে কাজ করতে থাকি,
তখন মোবাইলে কারো ফোন আসে,
তাকিয়ে দেখি,
আননোন নাম্বার
ফোন টা রিসিভ করলাম,
আমিঃহ্যালো,
আমি অনামিকা বলতাছি,
আমি ফোন টা কেটে দিলাম, অনামিকা নাম টা শুনে,
এভাবে অনেক বার ফোন দিলো আমি ফোন টা কেটে দিলাম
পরে মোবাইল টা বন্ধ করে দিলাম
আবার মনে হয় আমাকে অপমান করবে,,
সকালে অফিসে চলে গেলাম। গিয়ে ফাইল গুলো, ম্যাডাম কে দিলাম,ম্যাডাম ফাইর গুলো দেখে,
জুরে ছুরে মাররে মারলো আমার দিকে
এমন একটা প্রজেক্ট এর ফাইল এ আপনি এমন কেনো করলেন,
কতো করে বলছি অনেক গুরুত্ব দিয়ে কাজ টা করবেন,,
আর আপনি এটা তে, এমন হাল করছেন,
আমিঃফাইল টা হাতে নিয়ে দেখি, ভিতরে, কাটা ছিরা , তার মানে এটা রিয়া এমন করছে,
সরি ম্যাডাম,
ম্যাড্যামঃআপনার কাজ করে কি লাভ,, যান গিয়ে বসে থাকেন,যতোটা টাকা ক্ষতি হয়েছে আপনার বেতন থেকে কেটে রাখবো,,
এসে বসে পড়লাম,
বিকালে বাসাই যাই,
৩ দিন টাইম শেষ,
কিডনি প্রতিস্তাপন আর হলো না, জানিনা আর কতো দিন বাচবো
,
কিন্তু রিয়ার ওপর খুব রাগ হচ্ছে,এমন টা কেনো করলো
ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি,রিয়া বসে আছে,
আমিঃএকটু শুনবেন,
রিয়াঃকি---রাগি ভাবে,,
আমিঃফাইল টা এমন অবস্থা করছেন কেনো,
রিয়াঃআমার ইচ্ছা, আর তোর কারনে করছি,, তোকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য
আমিঃআমি কি আপনার কোন ক্ষতি করছি,
রিয়াঃহুমম আমার প্রিয় ফুর গাছ ভেঙ্গে ফেলেছিস,
আমিঃআপনি একটা মেয়ে বলতে হয়,
এটা বলে রুমে চলে আসি
No comments