গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ৩)
৩য় পর্ব
২য় পর্বের পর থেকে
ম্যাডামঃফাইল দেখা শেষে,
আমার কাছে এসে,
আপনি ফাইল টা এমন হাল করেছেন কেনো,
আমিঃম্যাডাম ঠিক মতো ওই তো করছি,,
ম্যাডামঃদেখুন তো কি করেছেন ফাইল টা,,আবার বলেন কই কি করছি,,
আমিঃ-_-----------
ম্যাডামঃফাইল টা ছুরে মারলো আমার দিকে,
১ ঘন্টার মধ্যে ফাইল টা কমপ্লিট দেখতে চাই,,
আমিঃওকে ম্যাডাম,
কাগজ গুলো কুরিয়ে কাজ করতে লাগলাম,,
বৃষ্টিঃ কি ভুল করেছেন,, আপনি,দেখি,
আমিঃসামান্ন ভুল,এটা ভুল দরে না,কিন্তু ম্যাডাম ভুল দরলো,
বৃষ্টিঃআরে বুঝেন না কেনো,ম্যাডাম।খুব করা,, কোথাও বুল হলে, সে তো শেষ,
আমিঃহুম।,,
এটা বলে আবার ফাইল টা কাজ করতে লাগি,,
১ ঘন্টা পর ফাইল টা জমা দেই,এইবার কোন ভুল নাই,,
বৃষ্টিঃআপনি এমন উদাসিন হয়ে থাকেন কেনো,,
জনিঃকই নাতো,
বৃষ্টিঃকোনো প্রবলেম,
আমিঃআরে না,
বৃষ্টিঃআচ্ছা আপনার চেহারার, এমন হাল হচ্ছে কেনো দিন দিন,
আমিঃকি রকম,,
বৃষ্টিঃমুখ টা একবারে শুকনা,আর সবাই দিন দিন চেহারা উজ্জল হয়, কিন্তু আপনার তো উল্টা,
আমিঃতেমন কিছু না,,
ম্যাডামঃকি হচ্ছে এখানে,,
বৃষ্টিঃকিছুনা ম্যাম
ম্যাডামঃদেইতেই তো পাচ্ছি কি হচ্ছে,,
কাজের দিকে নাই আলাপে, আছে,,
বৃষ্টিঃসরি ম্যাম,
ম্যাডামঃShut Up, কাজ করেন,,
বলে চলে গেলো,,
আমিঃসরি, বৃষ্টি আমার জন্য আপনার বকা খেতে হলো,
বৃষ্টিঃআরে না,, ম্যাডাম এমনই। কাজ করেন, আবার দেখলে সমস্যা হবে,
আমিঃওকে,,
------------ -------
অনামিকাঃআপনি আমার পিছু নিয়েছেন,,কিসের জন্য,
আমিঃনা মানে,,
অনামিকাঃনা মানে কি, আমি বুঝিনা, কি কিছু, আমি যে এই হাসপাতালে, সেটা কেমনে যানলেন,
আমিঃএমন করে কেনো কথা বলেন,, আমি তো যানতাম না আপনি এখানে, আছেন,
অনামিকাঃআমি কিন্ত ছোট খুকি বাচ্চা না যে আমাকে যা বলবে আমি আমি তাই বিশ্বাস করবো,,
আমাকে ফলো করা বাত দেন,,
আমিঃঅনামিকার দিকে তাকিয়ে, আর কোন কথা না বলে সামনের দিকে হাটা দরলাম,
ডাক্তারঃওহহ আপনি এসেছেস,
আমিঃহুম,,
ডাক্তারঃআসুন আমার সাথে,,
আমিঃহুম,,
ডাক্তারঃদেখুন মি.জনি আমি আপনাকে এখন যে কথা গুলো বলবো,সেগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনিয় কথা,
আমিঃহুম বলুন কি প্রয়োজনিয় কথা,
ডাক্তারঃদেখুন আপনি প্রায় কয়েক মাস যাবত একটা কিডনি নিয়ে, চলাফেরা করছেন,,
কিন্তু, আপনার রক্তের গ্রুপ, AB- হয়াতে আমরা আপনার কিডনি টা ভালো দাম দিয়ে কিনেছিলাম,আর সেই সময় কিডনি টার প্রয়োজন ও ছিলো আমাদের,
কিন্তু এখন একটা কিডনি AB- এর আছে,যদি আপনি ভালো ভাবে বাচতে চান তাহলে, তাহলে কিডনি টা প্রতিস্তাপন করেন,,
আমিঃনা মানে
এখন তো আমার কাছে টাকা নাই।
ডাক্তারঃআপনি বলছিলেন আপনার বউ কে এই টাকা দিয়ে চাকরি নিয়ে দিচ্ছেন,তাহলে আপনার বউ এর কাছ থেকে টাকা নিন,
আমিঃনা মানে সেটা তো সম্ভব হচ্ছে না,
ডাক্তারঃকেনো,,
আমিঃও অনেক কথা,
আর আমার ব্যাপারে যদি কোন মেয়ে, বা যদি কেউ কিছু যানতে চায় যে আমি এখানে কেনো আসছিলাম,
আপনি কিন্তু কিডনির কথা বলবেন না,
বলবেন এমনি আসছিলো,
ডাক্তারঃকে জিগ্গাস করবে,
আমিঃযদি কেউ করে,,
ডাক্তারঃওকে,
আমিঃযদি টাকা জোগার করতে পারি তাহলে আপনাকে জানাবো,
ডাক্তালঃদেখুন মি. জনি, ৫ দিন টাইম, এর মধ্যে টাকা টা জোগার না করতে পারলে অন্য জায়গায়, আমরা টাই করবো,,ওকে,
আমিঃওকে
ডাক্তারঃকিন্তু মনে রাখবেন,,আপনার রক্তের গ্রুপ এর সাথের কিডনি পাওয়া কিন্তু খুব কঠিন,
তাই যদি পারেন টাকা জোগার করুন পরে আবার টাকা থাকবে কিডনি থাকবে না,
আমিঃওকে চেষ্টা করবো,,
ডাক্তারঃআচ্ছা,
আমিঃওকে জাই তাহলে,
এটা বলে বের হয়ে আসলাম রুম থেকে,
সামনে তাকিয়ে দেখি অনামিকা,,
আমি কোন কথা না বলে, মাথা টা নিচু করে অনামিকার সামনে দিয়ে হসপিটালের নিচে যাই,
অনামিকাঃআমার পিছু আর নিবেন না,আপনি, নিলে সমস্যা হবে, আপনার মনে রাইখেন,
আমিঃঅনামিকার কথা টা শুনে খুব কষ্ট লাগলো,,
কোন কথা না বলে সেখান থেকে বাহির হয়ে আসলাম,
রাস্থা দিয়ে হাটছি,
আমার কপাল টাই এমন,
সেই ছোট থেকে শুধু কষ্ট পেয়েই আসছি,,
অনামিকা এখন আমাকে দেখলে, বিরক্ত হয়,
কতোটা ভালোবাসি অনামিকা কে, আর আজ সেই অনামিকা আমাকে দেখতে পারে না,
দিরে দিরে হাটছি,
রাস্থা মনে শেষ হতে চায় না,
অনামিকা তাহলে এই হাসসপাতালের ডাক্তার
কিছুক্শন পর আমার সামনে থেকে একটা স্কার আসে,,
আমি তো দেখে ভয় পেয়ে ডাই,,কেননা ভালো মতো চালাতে পারছেনা কার টা,
খালি দুলতাছে, কার টা, এখনি একটা একসিডেন্ট হবে প্রায়,
আমি গাড়ির প্রায় সামনে
,
এখন আমি বাচি কেমনে,,গাড়ি টা যে ভাবে, আসছেেখন আমি বাচলে হয়,
চোখ টা বন্ধ করে দাড়িয়ে রইলাম,
বড় একটা শব্দে, শুনে চোখ টা খুলিলাম,
তাকিয়ে দেখি গাড়িটা একটা গাছ এর সাথে গিয়ে লেখেছে,
যাক আমি বেচে গেছি,
বাসার দিকে হাটা শুরু করবো,,
তখনি, গাড়ির ভিতর কে, আর এখন যেই সময়, মনে হয় না,গাড়ির ভিতর লোক টা কে হাসপাতালে নিয়ে যাবে,
আমি তারাতারি করে গাড়ির কাছে যাই,
গিয়ে দেখি আমাদের অফিসের ম্যাডাম গাড়ির ভিতর রয়েছে, রক্ত পড়ছে শরির থেকে,
তারাতারি করে,গাড়ির ভিতর গিয়ে ম্যাডাম কে বাহির করলাম,
ম্যাডামের মুখ থেকে মদের গন্ধ আসছে, তার মানে ম্যাডাম ডিক্স করছে,
আমি ম্যাডাম কে কুলে নিলাম,
কি ভারি ম্যাডাম
খুব কষ্ট হচ্ছে ম্যাডাম কে কুলে নিতে,
কোন গাড়ি ও পাচ্ছি না,,
ম্যাডাম এর শরিরে অনেক জায়গায় কেটে গেছে,,মাথা টা মনে হয় ফেটে গেছে,,
আমি ম্যাডাম কে কুলে নিয়ে হাসপাতালের দিকে দিরে দিরে যেতে লাগি,
ম্যাডাম এখন বাচলে হয়,আল্লাহ জানে ম্যাডাম বাচে কিনা,
অনেক ক্ষন পর হাসপাতালে আসলাম,
এসে, ডাক্তার এর কাছে গেলাম,
ডাক্তার ম্যাডাম কে দেখা মাত্র,
ডাক্তারঃএকে আপনি কেমনে চিনেন,
আমিঃদেখুন কথা না ভারিয়ে, চিকিংৎসা করেন,
অবস্থাবেশি ভালো না
ডাক্তারঃআচ্ছা,এটা বলে ম্যাডাম কে ভিতরে নিয়ে গেলো,
আমিঃআমার হাতের দিকে চেয়ে দেখি,অনেক টুকু কেটে গেছে,,তার মানে কাচ এর কারনে কেটে ছে আমার,
আমি কিচুক্ষন বসে রইলাম,
এখন বাজে রাত ১১ টার মতো,
ডাক্তার বাহির হয়ে কোথায় যেনো যেতে লাগলো,,
আমিঃকোথায় যাইতাছেন,
ডাক্তারঃAB- রক্ত প্রয়োজন দেখি, আছে নাকি, হাসপাতালে,
আমিঃআমার টা নিন আমার AB-
ডাক্তারঃআচ্ছা চলুন,তাহলে,
রক্ত দেওয়া শেষে,,
ডাক্তারঃআপনি কে,,আমাকে বলবেন
আমিঃআচ্ছা আপনি একই মেয়েকে চিনেন,
ডাক্তারঃহুম চিনি, আর ওনার বাবা প্রায় এসে পড়লো,,এখন,
আমিঃআমি তাহলে যাই কেমন,আমার কাজ আছে,
ডাক্তারঃথাকুন, সমস্যা কি
আমিঃসরি কাজ আছে আমার,,আর বেচেছে তো মেয়েটা
ডাক্তারঃহুম,
আমিঃওকে বলে চলে আসলাম,
বাসায় এসে পড়লাম,
শরির টা দুর্বল লাগতাছে,
ক্ষত স্থানে তাকিয়ে দেখি, রক্ত পড়ছে তার মানে, ম্যাডাম কে কুলে তুলে নেওয়াতে,, ক্ষত স্থানে, চাপ পড়ছে যার কারনে, এমন হয়েছে,
পরিক্ষার করে,, সুয়ে পড়লাম,
তারপরের দিন অফিসে গেলাম,
বৃষ্টিঃম্যাডামএকসিডেন্ট করছে কয়েক দিন আসতে পারবে না,
আমিঃকিভাব,, না জানার বান,
বৃষ্টিঃগাড়ি একসিডেন্ট,
আমিঃওহহহ বলে কাজ করতে লাগি,
এভাবে কয়েক দিন পর,
শরির টা ভালো যাচ্ছে না,
ডাক্তারর কে ও না করে দিয়াছি,
কি করবো তা ছারা টাকা নেই তো,,
২ দিন অফিসে গেলাম না,
আর ম্যাডাম ও তো আসেনা, অফিসে,,
১ মাস পর,
অফিসে যায়ার জন্য বাতির হচ্ছি,
রিয়াঃতোর এতো সাহস হয় কি কররে,আমাকে প্রেম পত্র দেবার,
আমিঃসরি,,
রিয়াঃতুই আমাকে প্রেম পত্র দিছস কেনো,
আমিঃসরি কি সব বলেন,
রিয়াঃএটা কি,
বলে একটা চিঠি আমার সামনে দরলো,
আমিঃআমি কি করে যানবোনবো এটা কে দিছে আপনাকে,,
রিয়াঃতুই দিছস
আমিঃবেশি কথা না বলে অফিসে, যেতে থাকি, আজ ম্যাডাম
আসবে,,দেরি করলে ম্যাডাম বকা দিবে,,
রিয়ার সাসনে থেকে চলে আসলাম,
অফিসে এসে পড়লামম
আমার জায়গায় গিয়ে বসলাম,
বসে কাজ করতে লাগলাম,
ম্যাডাম অফিসে এসে দেখছেন কেউ, এই কই দিনে ফাকি দিয়েছে কিনা,
সবার টা পরে যখন আমার টা আসলো,,
আমি ম্যাডাম এর কেবিনে গেলাম,
ম্যাডামঃমি. জনি,
আমিঃজি ম্যাম,
ম্যাডামঃ৩ দিন এপছেন্ট কেনো,
আমিঃঅসুস্থ ছিলাম,ম্যাডাম
ম্যাডামঃছুটি নিতে পারতেন,
আমিঃসরি ম্যাম।
ম্যাডামঃওকে যান,আর পরে এর কারন ক্ষতি কি পেয়ে যাবেন,
আমিঃমাথা টা নিচু করে চলে আসলাম,
অফিস শেষে,
বাসায় আসি,,
আমার রুমে যায়ার জন্য, ছাদে উঠে,
যখনি রুমের তালা খুলবো,
তখনি
কেউ কোন কিছু দিয়ে আমাকে আঘাত করে,,
আমি তাকিয়ে দেখি রিয়া,
আমিঃমারছেন কেনো,
রিয়াঃতোকে আজকে আমি
এটা বলে বারি মারতে থাকে,
তুই আমাকে চিঠি দেস,,দেখ তোর কি করি,,
এটা বলে বারি দিলো,
বারিটা গিয়ে লাগলো,
প্যাটে,
বারি খেয়ে আমি কিছুক্ষন এর জন্য, বসে পড়লাম,
রিয়া ওর মতো মরে বারি মেরে চলে গেলো,,
No comments