গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ১)
অনামিকাঃআপনি আর আমাদের এখানে আসবেন না.
জনিঃকি বলো কি এসব,
অনামিকাঃহ্যা আপনি আর আমাদের বাড়িতে আসবেন না, আপনার স্ট্যাটাস আর আমাদের স্টাটাস মিলবে না, আপনি এখন থেকে আর আমাদের বাড়িতে আসবেন না,
জনিঃমজা করছো কেনো, আর আমি তা ছারা কোথায় যাবো,
অনামিকাঃআমি কি যানি, আপনি কোথায় যাবেন, আর কয়েক দিন এর মধ্যে ডিবোর্স প্যাপার এসে যাবে আপনি তাতে সাইন করে দিবেন।
জনিঃঅনামিকা তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি যে, কি সব আবুল তাবুল কথা বলতাছো আর আমি এখানে না থাকলে কোথায় যাবো, আমার তো আর যায়ার কোন জায়গা নাই, এগুলো জেনেও তুমি এই কথা বলতাছো,
অনামিকাঃএতো কথা শুনতে চাইনা, আপনি আর এখানে, আমাদের বাড়িতে আর না আসলে খুশি হবো,আমি আর আপনি আমাদের দুজনের মধ্যে আকাশ পার্তাল দফাত,
সো আপনার সাথে আমার মিলবে না,
জনিঃএখন তুমি এই কথা বলতাছো,
অনামিকাঃআমি এখন একজন ডাক্তার, আমার এখন এমটা স্ট্যাটাস আছে,,আর আমি এখন অনেক বড় লোক, আপনি তো আগে যেমন ছিলেন তেমনি, আছেন, আর আমাদের এখানে না আসলে খুশি হবো
জনিঃমনটা খারাপ হয়ে গেলো অনামিকার কথা শুনে, কিন্ত,
ওহহহ সরি , আমি আর তোমাদের এখানে আসবোনা,
অনামিকাঃহুম এর পর থেকে আমি আর আপনাকে যেনো না দেখি,এখানে।
জনিঃহুম,
চারিদিকে একবার তাকিয়ে চলে আসতে লাগলো,জনি
মনটা ব্যাজার হয়ে গেলো অনামিকার কথা শুনে,
অনামিকার ডাক্তার হওয়া।আমার জন্য হলো আর আজ সেই অনামিকা আমাকে তাদের বাড়ি যেতে মানা করতাছে,
অনামিকা আর আমার বিয়ে হয় বছর ৩ আগে,
অনামিকার পরিবার টা ধনি ছিলো না,মধ্যবিত্ত ছিলো,,
অনামিকার বিয়ে ঠিক হয়, এক ছেলের সাথে,
কিন্তু সেদিন ছেলেটা বিয়ে করতে আসে না,
আর অনামিকার ভাই, আমার বন্ধু ছিলো,
সেই কারনে অনামিকাকে আমাকে বিয়ে করতে বলে,
আমি একটা ভালো জব করতাম তার ফলেই পরে আমাকে বিয়ে করতে বলে, অনিক এর বোন কে,(অনামিকার ভাই,আমার বন্ধু)
অনামিকা কে বিয়ে করি ঠিকি, কিন্তু
সেদিন অনামিকা আমার কাছে একটা জিনিস চাইছিলো,সেটা হলো,
অনামিকা ডাক্তার লাইন এ পড়তাছে, যে পযন্ত ডাক্তার না হতে পারবে সেই পযন্ত আমি তারর পাশে সুইতে পারবো না,,
অনামিকা বলেছিলোঃডাক্তার হওয়া আমার সেই ছোট থেকে, কল্পনা করে আসছি,
আমি সেদিন রাজি হয়ে গেছিলাম,
সেই থেকে আমি যা বেতন পেতাম সেই টাকা দিয়ে, অনামিকার কল্পনাটা বাস্থবে পুরন করতে থাকি,
আমি যখন অনামিকা কে বিয়ে করি তখন ১ বছর হলো, অনামিকা, MBBS ভর্তি হয়েছে।
আর তিন টা বছর আমি অনামিকার স্পন্য টাকে বাস্থবে আনার জন্য, অনেক কষ্ট করেছি,
অনামিকার পড়া শেষে অনেক সার্কুলার ছারলো,
অনামিকা প্রায় সব টাতে apply করতো,
কিন্তু apply করার পর , যে অনামিকার চাকরি হয় না,
এক বার বাইভা তে বাত পড়ছে, , এভাবে কয়েক টা apply এ পরিক্ষা দিতো,, প্রত্যেক টা পরিক্ষায় টিকতো, কিন্তু টাকা ছারা চাকরি হয়ে না,, এখন কার সময়ে,,
টাকা ছারা চাকরি হয় না, বলে
অনামিকা খুব ভেঙ্গে পড়েছে,
কারন তার বাবা মায়ের ও এতো টাকা নাই যে, অনামিকা কে দিবে চাকরি নিয়ে দিবে,,
সামনে একটা সার্কুলার অনামিকার আছে,এটাই এই বছরের শেষ সার্কুলার, যদি এটাতে না চাকরি হয় তাহলে আবার ৫ বছর পরে,
অনামিকা অনেক কান্না করলো,
যে এতোগুলা গুরে যেহুেতু হইনাই তাহলে এটাও হবে না,
আমি তার পর আমার অফিসে গিয়ে লোন চাই, তারা আমাকে ৫ লাখ টাকা দেয়,
অনামিকার চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা দরকার,
আর আমার কাছে ছিলো ২ লাখ এর মতো,
হলো ৭ লাখ,
একটা দালাল দরছি সে চাকরি নিয়ে দিবেই,,এ্যাপায়ারম্যান কার্ড দিবে হাতে তার পর তাকে টাকা দিতে হবে,,
আমি রাজি হই,,
পরে টাকার জন্য অনেক খুজি,
আমার কাছে ৭ লাখ টাকা আছ। আরো ৫ লাখ টাকা দরকার,
অনামিকা ও মন মরা হয়ে বসে থাকে, সে ভেবে নিয়েছে যে তার চাকরি আর হবে না,
আর মাত্র ২ দিন আছে, কিন্তু আমি এখনো আরো ৫ লাখ টাকা জোগার করতে পারি নাই,
আজকে অনামিকার সেই লাষ্ট পরিক্ষা,
অনামিকা পরিক্ষা দিতে যাবো,তখন
অনামিকাঃগিয়েই আর কি হবে চাকরি তো হবে না,
আমিঃসেটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা যানে,,তুমি শুধু ভালো মতো পরিক্ষা দিবা,,
অনামিকাঃআচ্ছা, আর তুমি চলো আমার সাথে,
আমিঃনা তুমি যাও আমার কাজ আছে
অনামিকাঃমন খারাপ করে পরিক্ষা দিতে গেলো,,
অনামিকা যাওয়ার পর,
ফোন করলাম, দালাল কে,
আমিঃচাকরি হতে যা লাগে করবেন,,টাকার ব্যবস্থা হয়েছে,মনে রাখবেন, অনামিকা হাতে কার্ড টা পাওয়া মাত্র টাকা টা দিবো আপনাকে,
দালালঃআচ্ছা,
খুশির খবর এটাই যে, সেদিন অনামিকার চাকরি টা হয়েছে,
দালাল আর আমি একটা জায়গায় দাড়িয়ে আছি,
দালালঃআপনার কথা মতো কাজ করছি,
আমিঃআপনি যানেন এই টাকাটা কতো কষ্টের পর জোগার করছি,
দালালঃআমি জানি যারা টাকা জোগার করে অনেক কষ্ট করেই জোগার করে,
আমিঃকিন্তু আমি যে অনেক কষ্ট করে জোগার করছি,
শার্ট টা একটু তুলে, এই যে দেখুন, আমার শরিরের একটা কিডনি বিক্রি করে টাকা জোগার করছি,
দালালঃঅবাক হয়ে যায়,, কেননা মাত্র একদিন হয়েছে, আমাকে অপারেশন করে কিডনি টা নিয়েছে, শিলাই টা রয়ে গেছে, হালকা রক্ত পড়তাছে,
দালালঃএটা কি করছেন, এমন টা কেউ করে,
আমিঃআমার বউ কে চাকরি নিয়ে দিছি,,কিছুদিন পর আমার বউ টা টাকা কামাই করে আমার এই কিড়নি টা পতিস্থাপন করাবে,
দালালঃএবার টাকা টা দিন,
আমিঃটাকা টা হাতে দিয়ে, চলে আসলাম,
পরে বাসায় আসি, এসে দেখি যে অনামিকা বাসায় নাই,
ফোন দিলাম অনিক এর কাছে,
অনিকঃআপু বাসায় আছে,
আমিঃওকে বলে ফোন টা কেটে দিলাম,
আমার এখন এতোটা শক্তি নাই যে অনামিকার বাড়িতে যেতে পারবো,,
তাই বাসায় গিয়ে সুয়ে পড়লাম,
এভাবে কয়েক দিন চলে যায়,,
অনামিকা এখনো এখানে আসে নি, অনিক কে ফোন দিলে, বলে আপু ব্যাস্থ,
আমি কিছু বলি না, চাকরি হয়েছে তাই ব্যাস্থ,,
অনামিকা চাকরি তে জয়েন করে,,
কয়েক দিন এর মধ্যে,
তখন আমি অনামিকার কাছে যাই,,
তখন অনামিকা কি বললো আপনারা দেখলেন তো ওপরে, কথাগুলো,,
----- ----
আমি তখন মন খারাপ করে বাসায় এসে পড়ি,
অনামিকা এমন টা করতে পারলো,,নাকি মন খারাপ করে বলছে কথাটা আমাকে,
তার পরের দিন, অফিসে না গিয়ে অনামিকার বাড়িতে যাইলাম,
এখন হাটতে গেলে কষ্ট হয়, পেট ব্যাথা করে, আবার গাড়িতে জাকি লাগার কারনেও ব্যাথা করে,
কোন রকম ভাবে তার পরের দিন গেলাম অনামিকার বাড়িতে,
ভিতরে ডুকলাম,
দেখি অনামিকার মা,
আমিঃকেমন আছেন মা,
মাঃভালো বলে চলে গেলো,
অনামিকার চাকরি হওয়া দেখা যায় সবাই, আমার সাথে কথা বলা টা বন্দ করে দিছে
চারপাশে দেখতে লাগলাম,
অনামিকাঃকিসের জন্য আবার এখানে আসা,
আমিঃএমন করছো কেনো আমি না তোমার স্বামি,
অনামিকাঃআপনি আর কখনো এই কথা টা বলবেন না,
কারন আমি আর আপনাকে কোন দিন স্বামি বলে মানবো না,
আমিঃতোমার তো স্পন্য টা পুরন হয়েছে, আর তুমি তো বলছিলা, তোমার স্পন টা পুরন হলে, আমাকে,
অনামিকাঃচুপ করেন তো,, আর আপনি আমাদের দের বাড়িতে আসতে মানা করছি না আসলেন কেনো,,
আমিঃএটা কেমন কথা,
অনামিকাঃশুনুন আর আজ থেকে আপনি এখানে আসবেন না, আমি এখন MBBS ডাক্তার, আর আপনি সামান্ন একটা চাকরি করেন,
আমিঃতুমি না বলছো তোমার চা,,,
অনামিকাঃভুলে যান সব, সেই কথা গুলা, আর আপনি এখানে আসবেন না আর সামনের মাসে বাসা পাল্টাবো, আপনি ইচ্ছা করলেও আসতে পারবেন না,
আমিঃআচ্ছা আর কোন দিন আপনার সামনে আসবো না,
দিরে দিরে বাসা থেকে বাহির হলাম,
বের হয়ে দিরে দিরে বাসা দিকে হাটতে লাগলাম,
বাসায় এসে সুয়ে পড়লাম
শার্ট টা তুলে দেখি রক্ত পড়ছে ক্ষত জায়গা থেকে,,
রক্তটা মুছে, দিয়ে সুয়ে পড়লাম,
তার পরের দিন,
অফিসে যাই,,
স্যারঃআপনাকে এই অফিস থেকে টেনেসপার করা হয়েছে,
এই যে অফিসের ঠিকানা, এখানে আজ চলে যান, কাল ওই অফিসে যাবেন,
আমিঃওকে স্যার, এটা বলে বেরিয়ে পড়ড়লাম,
আমিঃআল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে,,
ঠিকানা অনুযায়ি গেলাম, একটা বাসা
বাড়া করলাম,
ছাদের চিলেকোঠায়,
রাত টা পারি দিয়ে, তারপরের দিন,
গেলাম
নতুন অফিসে,,
অফিসের বস এর সামনে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো,
গিয়ে দেখি, অফিসের বস, স্যার না ম্যাডাম,
ম্যাডামঃআপনি মি.জনি
আমিঃজি
ম্যাডামঃওকে,আপনার কি কাজ ম্যানেজার বুঝিয়ে দিবে,
আমিঃওকে ম্যাডাম,
ম্যানেজারঃআসুন আমার সাথে,
আমিঃওকে, দিরে দিরে যাচ্ছি,,
ম্যানেজারঃএই যে আপনার জায়গা এখানে বসেন, কাজ গুলো দেখিয়ে দিচ্ছি,
আমিঃবসলাম
ম্যানেজারঃকাজ টা বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলো,,
আমিঃবসে কাজ করতে লাগলাম,
কয়েক টা ফাইল আসলো আমার কাছে, আমি সেগুলো করতাছি,
পাশে থেতে এতজনঃকি মি.এখানে কেনো আসলেন হুম
আমিঃআগের অফিস থেকে এখানে ট্যানেসপার করেছে,
লোকটাঃবুঝবেন মাসে কয়দিন জায়,
আমিঃহাসি দিয়ে কাজ করতে লাগলাম,
ফাইল ২ টো কাজ শেষ করে, ম্যাডাম এর কাছে নিয়ে গেলাম,
ম্যাডাম ফাইর টা দেখা মাত্র,
Shut Up কি করছেন এগুলা হুম,
আমিঃজি ম্যাডাম ঠিকি তো করছি,
ম্যাডামঃ আমার মুখের ওপর কথা,,আপনাকে চড় মারলাম না কারন কি জানের নতুন আইছেন বলে,
আর যদি কোন ভুল দেখি তাহলে থাপ্পর এর সাথে, সাথে আরো অনেক কিছুর মাসুল নিবো,,মনে রাখবেন,
এটা একটা নামকরা ফ্যাটরি,,
অমনযোগ হওয়া যাবে না,Just now go,,
আমিঃওকে ম্যাডাম,
এটা বলে আমার কেবিনে চলে আসলাম,
লোকটাঃকেমন লাগলো ম্যাডাম কে,
আমিঃখুব ভালো,,
লোকটাঃদেখলাম না,, সব
আমিঃকাজ করতে লাগলাম,
বিকেলে ও আবার জারি খেলাম।,
জানিনা কোথায় আমাকে ট্যানেসপার করলো,,পুরা একটা জেলখানা,
রাতে নতুন বাসায় আসতে লাগি,,
বাসার গ্রেট দিয়ে বিতরে ডুকতে যাবো,
কারো সাথে, দাক্কা দেখাল,
দাক্কা টা ক্ষত স্থানে লাগাতে, শরির টা কেপে উঠলো,,
দাক্কা লাগার সাধে সাথে,
ঠাস ঠাস ঠাস করে, কয়েকটা চড় মারলো আমাকে,,
তাকিয়ে দেখি, একটা মেয়ে,,
আমার সামনে অগ্নি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আমিঃগালে দিয়ে,রইলাম,
মেয়েটাঃতোকে এখানে ডুকার সাহস কি করে হলো, তুই কে আমার, আমাকে দাক্কা দিস,
আমিঃআমি সরি, আসলে আমি ও ডুকছি আর আপনি ও বাইরে যাচ্ছেন, তাই কেউ কাউকে না দেখার কারনে, এমন টা হয়েছে,।
মেয়েটাঃতোর কথা রাখ,যা আমার সামনে থেকে,
বাড়ি আলাঃকি হয়েছে মা, এমন কেনো করছিস,
মেয়েটাঃবাবা এই ছেলেটা আমাকে দাক্কা দিছে,
আমিঃআংকেল সরি আমি ইচ্চা করে দাক্কা দেই নি,
আংকেলঃওক
তুমি যাও আমি দেখছি,
আমি ওপরে চরে আসলাম,
ছাদের ওপর একটা রুম, সেটাই নিয়াছি,, কি আর করবো,,।
সুয়ে সুয়ে অনামিকার কথা গুরা ভাবতাছি,
খুব কষ্ট হচ্ছে,
সকালে ঘুম থেকে ওঠে,, ফ্রেশ হয়ে,
হালকা কিছু খেয়ে,
অফিসের উদ্দেশ্যে বাহির হলাম,
দরজা তে তালা দিয়ে গুরেরে দাড়াই তখনি কেউ পড়ে যায়
তাকিয়ে দেখি রাতের সেই বাড়ি ওয়ালার মেয়েটা,
আমিঃসরি আপনি যে কখন এসে পড়েছেন,
মেয়েটাঃওঠে,
সোজা আমার দিকে রাগি ভাবে এসে,
কলার দরলো,
তোকে আজকে না,
আমিঃ
মেয়েটাঃরাগের ফলে হাতে যেন কি ছিলো,সেটা দিয়ে মাথায় টোকা দিলো,,
আমিঃখুব ব্যাথ্যা পেলাম,
মেয়েটা ঃরাগে নিচে চলে গেলো,
আমিঃমাথায় হাত দিয়ে দেখি, রক্ত পড়ছে,,
তারমানে মেয়েটা কোন কিছু দিয়ে আঘাত করছে যার কারনে মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে,,
No comments