Header Ads

Header ADS

গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ১০)

অহংকারী মেয়ের ভালোবাসার গল্প,অহংকারী মেয়ের প্রেমের গল্প,love story 2019 bangla,barangay love story april 2019,another love story 2019,a cute love story 2019,ভালোবাসার গল্প,ভালোবাসার গল্প 2019

১০ ম পর্ব
৯ম পর্বের পর থেকে........

বৃষ্টিঃজনির কিছু হলো না তো আবার,

কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না বৃষ্টি

আর জনি ও কোন কথা বলতাছে না,

বৃষ্টি যানেও না যে জনি কোথায় থাকে, যে সেখানে যাবে

খুব দুষচিন্তায় পড়ে যায় বৃষ্টি।এখনি কি করবে,

বৃষ্টি তখন জনির ফোন নাম্বার এর লোকেশন সার্চ দেয়,,
দিয়ে তারপরর জনির যেখানে থাকে সেখানে যেতে থাকে,

লোকেশন অনুযায়ি এসে পড়ে বাসার সামনে

বিতরে ডুকতে যাবে,

রিয়াঃকে আপনি আর এখানে কি চাই,

বৃষ্টিঃআমি বৃষ্টি, জনির কলিগ জনি কোথায়

রিয়াঃকেনো জনিকে দিয়ে কি করবেন,
বৃষ্টিঃদেখুন পরে বলা যাবে,আগে বলুন জনির রুম কোনটা

রিয়াঃআগে বলেন আপনার কি দরকার জনিকে

বৃষ্টিঃজনি এখন বিপদের মুখে আছে,
তাই দেখতে আসলাম,

রিয়াঃআমার সাথে চলুন নিয়ে যাচ্ছি

বৃষ্টিঃআপনি কে,
রিয়াঃএই বাড়ির মালিকের মেয়ে

বৃষ্টিঃওহহহ

রিয়াঃওই যে রুমটা সেটাই জনির রুম,

বৃষ্টিঃদৌড় দিয়া রুমের ভিতরে যায়,

গিয়ে দেখে জনি সেখানে সুয়ে আছে,মোবাইল টা পাশে পড়ে আছে,,

বৃষ্টিঃজনি, কি হয়েছে তোমার দেখ আমি এসেছি,

জনিঃ----------------
বৃষ্টিঃকি হয়েছে তোমার, চোখ খুলো,

অনেক ক্ষন বলার পরো দেখে জনি কথা বলে না।
চোখ ও খুলতাছে
বৃষ্টি খেয়ার করে দেখে যে জনি অজ্ঞান হয়ে গেছে,

বৃষ্টি তখন পানি এনে জনির মুখের ওপর ছিটিয়ে দেয়,

তখন জনি চোখ টা খুলার চেষ্টা করে,

বৃষ্টি চেয়ে দেখে জনি চোখ নারাচ্ছে,

বৃষ্টিঃজনির পাশে বসে পড়ে,,

আমি তখন চোখ খুলি তখন তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি আমার পাশে বসে আসে

আমিঃতুমি এখানে কেমনে এলে
বৃষ্টিঃকি হয়েছিলো তোমার,
আমিঃআমি তো জানি না,
বৃষ্টিঃতুমি ফোনে কথা বলতে বলতে চিতকার করে আর কথা বলো না
তাই আমি তোমার মোবাইল ফোনের লোকেশন নিয়ে তোমার কাছে আসি,
আর এসে দেখি তুমি অচেতন অবস্থায় সুয়ে রয়েছো,,,

আমিঃআমার কি হয়েছিলো আমি তো জানিনা কিন্তু ব্যাটে প্রচন্ড ব্যাথার কারনে চিতকার দিয়েছিল তার পরর আর কিছু মনে নাই,,,আর ওঠে দেখি তুমি সামনে,

বৃষ্টিঃএমন করে থাকলে তো তুমি মারা যাবে,প্লিজ চলো আমার সাথে ডাক্তার এর কাছে
আমিঃআমি যে ডাক্তার দেখিয়ে ছিলাম,
বৃষ্টিঃআমি তোমাকে ডাক্তার দেখাবো,

আমিঃআরে থাক, তোমার আরো হুদাই টাকা গুলো খরচ হবে,আর আমি সেইটা শোধ করতে পারবো না,

ম্যাডাম যদি ব্যাতোন দিতো তাহলে চিকিৎসা করাতে পারতাম, কিন্তু ম্যাডাম ব্যাতোন দেয় না আর আমার কাছে টাকা নাই যে, ডাক্তার দেখাবো

বৃষ্টিঃতোমাকে ডাক্তার দেখাবো,

আমিঃকি বলো, আর আমি মনে হয় বেশি দিন বাচবো,

আমার যে বেশি আপন ছিলো সেই আমার বিপদের সময় পাশে ছিলো না,

যদি সেই বিপদের সময় পাশে থাকতো তাহলে মনে হয় না, আজ আমার এমন প্ররিনত হতো,

বৃষ্টিঃআমি তোমাকে তোমার চিকিৎসা করাবো প্লিজ তুমি আমার সাথে চলো,,

আমিঃতুমি এখানে যে আসলে,সবাই যে এখন তোমাকে আমাকে খারাপ ভাবতে পারে,,আর রিয়ার সাথে কি দেখা হয়েছিলো,

বৃষ্টিঃকেউ কিছু ভাববে না,
আমিঃআরে না তুমি জানো না এতেই সন্দেহ করবে কি কারনে তুমি এখানে আসলা কিসের জন্য, হাজার হাজার প্রশ্ন করবে,,তার থেকে তুমি চলে যাও আমি তোমাকে বিপদে ফেলতে পারি না

বৃষ্টিঃকিছুই হবে না, তুমি শুধু আমার সাথে চলো,, না হলে কিন্তু জোর করে নিয়ে যাবো,
আমিঃআমাকে নিয়ে গেলেও যে বাচাতে পারবে না

বৃষ্টিঃচেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়,,
আমিঃনা সমস্যা নাই কিন্তু,আমাকে যতই ভালো উন্নত মানের চিকিতসা দিবা কাজ হবে না,
ডাক্তার আমাকে সেই কথাটা আগেই বলে দিয়াছে,

বৃষ্টিঃএমন কেনো তুমি, একটু বুঝো না,
আমিঃ তুমি চাইলেও যে আমাকে বাচাতে পারবে না,

বৃষ্টিঃচুপ একদম চুপ

আমিঃচলো তুমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি

বৃষ্টিঃআমার সাথে তুমি এখন হাসপাতালে যাবে

আমিঃআরে বুঝার চেষ্টা করো,,
বৃষ্টিঃকি বুঝবো তুমি আমার কথাটা কেনো শুনতাছো না,,

আমিঃতুমি না,,আচ্ছা এই যে নাও ডাক্তার এর নাম্বার তুমি,ডাক্তার এর কাছে আমার সব কথা শুনবা তারপর ডাক্তার যদি বলে যেতে তাহলে যাবো,,

বৃষ্টিঃসত্যি তো,,
আমিঃহুম

বৃষ্টিঃওকে,,
আচ্ছা জনি আসার সময় একটা মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিলো সেই কি মেয়েটা।

আমিঃহুম রিয়া,,সে,,
বৃষ্টিঃতাহলে আমি যাই,মনে রাখবা আবার যদি আসি তাহলে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবো,,

আমিঃআচ্ছা,
বৃষ্টি তখন চলে গেলো,,

বৃষ্টি যায়ার পরেই রিয়া রুমে আসে

রিয়াঃকে মেয়েটা আর তোমাকে চিনে কেমনে

আমিঃআমার জিবনে আমি একটা ভালো মেয়ের দেখা পেয়েছিলাম,
সেই মেয়েটা ও
রিয়াঃএমন করে কথা কেনো বলতাছো

আমিঃকই কেমন করে কথা বললাম
রিয়াঃআমি জানি আমি অনেক বাজে ব্যবহার করছি তোমার সাথে,

আমিঃআজ আমার এমন অবস্থা আপনার মতো আরো ২ টা মেয়ের কারনে,,যাদের জন্য আমি এই অল্প বয়সে বিদায় নিতে হচ্ছে,

রিয়াঃপ্লিজ জনি আমাকে একটি বার শুধু সুযোগ দাও, আমি তোমাকে ভালো ডাক্তার দেখাবো

আমিঃদেখিয়ে আর কিছু হবে না,, আমি যে আর বাচবো না,

রিয়াঃবসে থাকে আমার পাশে,,,আর তাকিয়ে আছে, আমার দিকে,,

আমিঃআপনি তো কোন দিন কষ্ট পান নাই,তাই তো,,
আর যদি পেয়েও থাকেন তাহলে খুবই সামান্য
রিয়াঃনা কষ্ট টা খুবই কম পেয়েছি,

আমিঃকাউকে কোন দিন ভালবেসেছেস

রিয়াঃহুম
আমিঃএখনো কি আছে নাকি,

রিয়াঃনা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে,
বিদেশে স্টাডি করতে,

আমিঃওহহ কোন না কোন দিন তো ফিরে আসবে,,
আপনি তো সামান্ন কষ্ট পাচ্ছেন
আর আমি
আমার জিবনে কতোজনের যে কষ্ট সয্য করেছি।

রিয়াঃসেদিন যে অনামিকা বলরো আপনি তার স্বামি,এটার কারন কি,

আমিঃহিহিহিহিি
অনামিকা মেয়েটা খুব অহংকারি,,আপনি ও অহংকারি কিন্তু কেমনে যে পাল্টে গেলেন আল্লাহ যানে,অনামিকা আমার বউ ছিলো, কিন্তু যখন ডাক্তার হয়, আমাকে ডিবোর্স দেয়,

রিয়াঃতোমার কথা শুনে আমার নিজেরি অনেক কষ্ট হয়েছে,,

আর তোমার সাথে থারাপ ব্যবহার করতাম তার কারন হলো

আমি যে ছেলেকে ভালবাসতাম সে এখানে থাকতো,, সেই থেকে প্রেম।।

কিন্তু পরে সে আমাকে ছেড়ে বিদেশে চলে যায়,,তাই ছেলেদের ওপর রাগ হয় আমার

তাই আমি তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করি,

কিন্তু আমি এতটা ভালো মানুষের সাথে খুব অন্যায় করে ফেলি,,আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ

আমিঃহুম বুঝলাম, আপনি মনে করেন সকল ছেলে এক তাই আমার সাথে এমন করছেন,

রিয়াঃ-------------

আমিঃতখন সুয়ে পড়ি,,

কি বা বলবো আর রিয়া কে,,

কয়েক দিন পরে

আজ একেবারে ব্যাটটে ব্যাথা টা কমছেই না,,

মনে হচ্ছে এখনি মারা যাবো,

এতোটা তিব্র ব্যাথা কথা ও বলতে পারছি না,,

মনে মনে অনামিকার কথা টা ভাবতাছি

তুমি খুব বালো থাকো যতটা দিন তুমি আমার কাছে ছিলে ততদিন আমি চেয়েছি তুমি তখোন কিছুতে কষ্ট না পাও,তুমি যাতে ভালো মতো পড়তে পারো,আমি তার জন্য হাজার কষ্ট করছি,

আর আজ আমি এতোটা কষ্টে আছি তুমি সামান্ন খুজ ও নাও না,

তুমি কি এটা জানো এখনো তোমাকে খুবব ভালোবাসি,

কিন্তু তোমার সাথে করি রাগে, কথা বলি

তুমি সুখি থাকো,,
আমি যা চাই সেটা হলো তুমি যাতে সুখে থাকো,,

কি হয়েছে তার পর আর আমার মনে নাই,

যখন চোখ টা খুলি,

তখন চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে
আমার সামনে বৃষ্টি দাড়িয়ে আছে, দুই পাশে অনামিকা আর রিয়া,,

ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখি এটা তো আমার রুম না
তাহলে আমি কোথায়।

বৃষ্টিঃতুমি এখন হাসপাতালে,

আমিঃএখানে কেনো,

আর বৃষ্টি তুমি এমন ভাবে কান্না করো কেনো,

বৃষ্টিঃচোখ মুছতে মুছতে বাইরে চলে যায়,,

সবার দিকে তাকিয়ে দেখি সবাই কান্না করছে

অনামিকাঃআমি খুব অহংকারি, অহংকার এর জন্য আজ তোমার এমন অবস্থা,

আমিঃ---------

অনামিকাঃআমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না,
আমিঃসরি কি বলেন সব,,

অনামিকাঃআমার কাছে এসে আমাকে জরিয়ে দরে,

আমিঃছি কি করেন,,

অনামিকাঃআমার দিকে তাকিয়ে রইলো এমন কথা তে,

আমিঃএমন করে প্যাটে ব্যাথা হচ্ছে কেনো,

জানিনা কি করি,, বাচবো নাকি মারা যাবো কষ্ট হচ্ছে খুব,

খাশি হচ্ছে খুব

আমার কাশি শুরু হলো কেনো,

কাশতে কাশতে মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে,,

অনামিকাঃজনিকে এমন অবস্থায় দেখে, গাবরে যায়,

কেননা ডাক্তার যা বলছে তাই হচ্ছে জনির সাথে,,

মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে জনির,

অনামিকা ভাবতেই পারে নাই যে এমন হবে জনির সাথে,

বৃষ্টি কাশির শব্দ শুনে কেবিনে আসে তাকিয়ে দেখে যে জনি কাশতে কাশতে রক্ত পড়ছে মুখ দিয়ে, আর জনি অজ্ঞান হয়ে গেছে,

অনামিকা জনিকে ডাকতে থাকে,

বৃষ্টি গিয়ে জনি কে ডাকতে থাকে
কিন্তু জনি কোন সারা দেয় না,,

অনামিকা তখন বড় ডাক্তার কে ডেকে আনে জনির কাছে,

ডাক্তারঃআমি যা বলছি তাই হলো,

ডাক্তার রক্ত যোগার করেন তা না হলে যে মারা যাবে,,

রক্ত সল্পমা,, কারনে হচ্ছে এমন,,রক্ত যোগার করেন,

সবাই তখন রক্ত যোগার করতে অনেক খানে ফোন করতে লাগলো,

আজ কয়েক দিন যাবত জনির এমন অবস্থা,

বৃষ্টি কোন মতেই জনিতে ছেড়ে যাচ্ছে না,

রক্ত কোথায় পাবে,
জনির যে AB- রক্ত, এটা যে খুবই কম লোকের হয়ে থাকে,

বৃষ্টি তখন রক্তের খুজে বাহির হয়,
অনেক খুজে কিন্তু পায় না,,

বৃষ্টিঃঅটাইমে আবার ফোন করে কে

তাকিয়ে দেখে অফিসের ম্যাডাম

বৃষ্টিঃ৩ দিন অফিসে যায় না তাই মনে হয় ফোন দিছে,

ফোন টা রিসিভ করে,

বৃষ্টিঃহ্যালো,

ম্যাডামঃআপনি যেখানে থাকেন সেখান থেকে এখনি অফিসে আসবেন

না হলে, সমস্যা হবে

বৃষ্টিঃকি করি এখন আমাকে যে রক্ত খুজতে হবে,

আরে পেয়েছি জনি বলছির ম্যাডাম কে সে রক্ত দিয়েছে,,

ম্যাডাম এর তো AB-
যাই তাহলে ম্যাডাম এর কাছে,

তখনি অফিসে যায় বৃষ্টি

বৃষ্টিঃআসতে পারি ম্যাডাম
ম্যাডামঃআসুন

বৃষ্টাঃজি বলুন ম্যাডাম

ম্যাডামঃঅফিসে কেনো আসেন না,

বৃষ্টিঃম্যাডাম সমস্যার কারনে আসতে পারি না,

ম্যাডামঃShut up আর এই যে আসেন না, আমাকে জানান না কেনো,

বৃষ্টিঃম্যাডাম, একটু উপকার করতে পারবেন

ম্যাডামঃকি

বৃষ্টিঃরক্ত দিতে পারবেন একজন কে

ম্যাডামঃকেনো কিসের রক্ত দিবো

আর আমি দিতে পারবো না,

বৃষ্টিঃআমাদের অফিসেই কাজ করতো সে,খুব খারাপ অবস্থা

ম্যাডামঃকে,,
বৃষ্টিঃজনি
ম্যাডামঃকি হয়েছে,, আর আমি রক্ত দিতে পারবো,
না

বৃষ্টিঃঅবাব হয়ে যায় তার ম্যাডাম এর কথা শুনে,বৃষ্টি তখনি তার ম্যাডাম এর রুম ত্যাগ করে,

বৃষ্টিঃহায়রে, মানুষ কে বাচাবে, তাতেও না করে

আর জনি সেই সময় ম্যাডাম কে রক্ত দিয়ে বাচিয়ে আজ যে এমন অবস্থা সেটা তো ম্যাডাম এর জন্য আর সেই
ম্যাডাম না করলো,

বৃষ্টি তখন হাসপাতালে চলে যায়,

গিয়ে দেখে জনির

অবস্থা বেশি ভালো না,

রিয়া অনামিকা এটা কেউ, রক্ত যোগার করতে পারে নাই,,

আর সবাই কান্না করছে সেখানে বসে

wait for next part....

No comments

Theme images by enjoynz. Powered by Blogger.