গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ৯)
৯ম পর্ব
৮ম পর্বের পর থেকে.....
আর রুমের সামনে গিয়ে আরো বেশি অবাক হলাম
আমি দিরে দিরে আমার রুমের কাছে যেতে লাগলাম,
অনামিকা এখানে কি করে
আমিঃআমার রুমে কি করেন আপনারা
রিয়াঃও আমার ফেন্ড, আর একজন ডাক্তার
অনামিকাঃতুমি তাহলে এখানে থাকো,
আমিঃহুম কোন সমস্যা,
অনামিকাঃজনি প্লিজ চলো আমার সাথে আমি তোমাকে উন্নত মানের চিকিৎসা করাবো,
আমিঃথাক তার দরকার নাই,আমি এমনেই যতদিন বাচবো সেটাই ভালো,
রিয়াঃতুমি অনামিকা কে চিনো,
অনামিকাঃহ্যা,
রিয়াঃকেমনে চিনো কিভাবে,
আমিঃআপনারা রুম থেকে বাহির হয়ে যান, দয়া করে,
রিয়াঃকেনো এমন করতাছো তুমি,
আমিঃদেখুন রিয়া আপনি যদি এমন ভাবে জালাতন করেন তাহলে এখানে থেকে চলে যেতে বাধ্য হবো,,
রিয়াঃ----------------
অনামিকাঃআমার কষ্ট টা একটু বুঝো, তোমাকে ছারা কেমন যেনো লাগে
আমিঃদেখুন কথা বারাতে চাই না,
অনামিকাঃআমি তোমাকে আজ নিয়ো যাবোই,,,
আমিঃদেখুন আপনি একটা শিক্ষিত মেয়ে, সব কিছু ভাল বুঝেন,আমার মতো ছেলেকে নিয়ে আপনার কোন লাভ হবে না,
অনামিকাঃ-------
আমিঃআপনি তো আবার লাভ ছারা কিছু করেন না,
সরকারি চাকরি পাওয়ার পর, আপনি আমাকে দুর দুর করে তারিয়ে দিলেন একটি বারো জানতে চাইলেন না, আমি কোথায় যামু কি খামৃ,, কেমনে চলমু,,না সেগুলোর কথা চিন্তা না করেই আপনি আমাকে তারিয়ে দিয়েছেন,
অনামিকাঃপুরনো কথা ভুলে গিয়ে চলো আমার সাথে,
আমিঃদেখুন আপনি এখান থেকে চলে যান তাহলে আপনার জন্য ভালো,
অনামিকাঃনা আমার ভালো লাগবেনা,
আমিঃথাকেন তাহলে আপনারা এখানে, !
এটা বলে রুম থেকে বাহুির হতে থাকি,
রিয়াঃএমন করো কেনো,
আমিঃদেখুন আমি কথা বারাতে চাই না,,
আমার জিবনে সবচেয়ে একটা মানুষ কে বেশি ঘূনা করি, আর সেই মানুষ টা হলো, অনামিকা,
আর আপনি তাকেই এখানে নিয়ে এসেছেন,
রিয়াঃতুমি অসুস্থ তাই ডাক্তার নিয়ে আসছি,
আমিঃআমার কাছে না শুনে কাজ টা কেনো করলেন,
রিয়াঃসরি,,
আমিঃদেখুন ঘূনা কিন্তু সবাই কে
করা যায় না,আপনি এখনি ওনাকে নিয়ে আমার রুম থেকে নিয়ে যান,
রিয়াঃওকে,
বলে অনামিকার কাছে যায়
রিয়াঃচলো তাহলে এখান থেকে,
অনামিকাঃনা আমি তো যাবো না,আর যার জন্য আমাকে ডেকে এনেছো সে কে হয় আমার যানো
রিয়াঃনা কে
অনামিকাঃআমার স্বামি
রিয়াঃকিহহহহ
অানামিকাঃহম
আমিঃদেখুন অনামিকা মিথ্যা কথা বলা আমি প্রছন্দ করি না।আমি আপনার স্বামি কেমনে হলাম,
অনমিকাঃতুমি আমার স্বামি তো,,
আমিঃআমার মতো ছেলে আপনার কেমনে স্বামি হয়,, আর আপনি হলেন এখন কোটি পোতি আর আমি হলাম, একটা কি,
দুজনের মধ্য কতো তফাত, আর আপনি কি সব উলটা পাল্টা কথা বলেন,
এটা বলে ছাদ থেকে নেমে যেতে লাগলাম,
রিয়াঃকি ব্যাপার কই যান
আমিঃআর মনে হয় না এখানে আসবো, দেখি কোথায় যেতে পারি,
রিয়াঃনা তুমি কোথাও যাবে না আমি তোমাকে যেতে দিবো না,
আমিঃথাক লাগবেনা,, আপনি আর এই মেয়েটা থাকেন, আমি যাই,
রিয়াঃএখনি বাহির করতাছি,,
রিয়াঃদেখো অনামিকা তুমি এখনি এখান থেকে চলে যাও
অনামিকাঃনা যাওয়া যাবে না,আমি যাবো না,
রিয়াঃদেখুন আপনি না গেলে যে জনি চলে যাবে এখা থেকে,
অনামিকাঃদৌড় দিয়া আমার কাছে আসে,
প্লিজ জনি এমন করো না,,
আমিঃদেখুন আমি কথা বারাতে চাই না,আপনার সাথে,আর আপনি যদি হাজার বার বলেন, আমাকে উন্নত মানের চিকিৎসা দিয়ে ভালো করবেন,
এই কথাটা বলবেন না,
আমি চিনে গেছি আপনি কেমন,,,, মনের মানুষ
আপনার যাকে প্রয়োজন হবে তাকে ব্যবহার করে, প্রয়োজন শেষে ছুরে ফেলে দিবেন,আপনার মত মেয়ে শুধৃ এমন কাজ করতে পাররে,
অনামিকাঃআমাকে ক্ষমা করে দাও,
আমিঃআমি সবাই কে ক্ষমা করবো কিন্তু আপনাকে না,,
আপনাকে কোন দিন ক্ষমা করবো না,
এখন আপনি চলে যান এখান থেকে,
অনামিকাঃকান্না করতে করতে চলে গেলো,
রিয়াঃকি হয়েছে তোমার আর অনামিকার মধ্যে,,আর কেমনে চিনো অানামিকা কে
আমিঃআপনার না জানলেউ চলবে,,
কিন্তু অনামিকা মেয়েটা টাকা পেয়ে
খুব অহংকারি হয়ে গেছে,,
রিয়াঃকেনো,
আমিঃআপনি ও খুব অহংকারি, ছিলেন, জানিনা এমন কেমনে ভালো হলেন,
রিয়াঃআমার দিকে তাকিয়ে আছে
আমিঃরুম থেকে প্লিজ বাহির হোন,
রিয়াঃরুম থেকে বাহির হলো,,
আমিরুমে গিয়ে বিছানায় সুয়ে পড়লাম।
আজ কেমন জানি বুকের বা পাশে ব্যাথ্যা হচ্ছে,
যে ব্যাথ্যাটা অনামিকার জন্য না, বৃষ্টির জন্য,
অনামিকা,রিয়া, ম্যাডাম দের মতো না বৃষ্টি,
সবার থেকে আলাদা মেয়েটা,
কতো সুন্দর মনের মানুষ, মেয়েটা,
আমি বৃষ্টির ব্যবহারে আগেই বুঝেছি মেয়েটা আমাকে ভালবাসে,,
কিন্তু আপছুস এখন সেই ভালবাসস্র কোন দাম নাই,
আমি কেমনে ঠকাইবো,,মেয়েটাকে,,
খুব মিস করবো বৃষ্টি কে
ফোন টা ভেজে উঠলো,
হাতে নিয়ে দেখি বৃষ্টি ফোন করেছে,
আমিঃফোন টা দরলাম না,,
কি হবে ফোন টা দরে, আরো বৃষ্টি কষ্ট পাবে হয়তো,,
আবার ফোন টা না দরেও থাকতর পারছি না,
অবশেষে দররে ফেললাম
আমিঃহ্যালো
বৃষ্টিঃকি করো এখন তোমার শরির টা কেমন
আমিঃসুয়ে রয়েছি, আছে কেন রকম,, তুমি কি করো,,
বৃষ্টিঃখুব খারাপ লাগতাছে তুমি চাকরি ছেরেছো বলে আর, খুব কষ্ট হচ্ছে,
আমিঃকয়েক দিন পর ঠিক হয়ে যাবে
বৃষ্টিঃনা হবে না,,
আমিঃতোমার কথা টাই আমি ভাবতাছি,,
বৃষ্টিঃসত্যি
আমিঃহুম
তুমি অনেক ভালো,,দেখবে তুমি সুন্দর একটা স্বামি পাবে,,,
বৃষ্টিঃআমি চেয়েছিলাম তোমাকে,, প্লিজ রাজি হয়ে যাও,চলো আমি তোমাকে ডাক্তার দেখাবো,,
আমিঃডাক্তার দেখিয়ে যে কিছু হবে না , আর আমার দিন শেষ।
বৃষ্টিঃতুমি শুধু রাজি হও তারপর সব কিছু আমি দেখবো,,
আমিঃদেখো হুদাই টাকা খরচ করে লাভ নাই,,
বৃষ্টিঃআচ্ছা বন্ধু হিসেবে টাকা খরচ করবো ভালো হয়ে যাওয়ার পর না হয় ফিরিয়ে দিবে,,
আমিঃআমি তো মনে হয় না বাচবো,,
কেননা রিয়া আর ম্যাডাম যা করছে,,
বৃষ্টিঃচেষ্টা করলে সমস্যা কোথায়,
আমিঃআমার রক্তের গ্রুপ AB- আর এই রক্তের গ্রুপ ডাক্তার দের কাছে থাকে না, খুব কম থাকে,,যার জন্য আমি যদি ডাক্তার দেখাই লাভ হবে না,,
আর কিডনি তো কোন ভাবেই যোগার করা সম্ভব না,,
আর আমার পেটে যেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনন করবে সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপন হবে না,।
রিয়া আঘাতে সেখানে সব নষ্ট হয়ে গেছে,
বৃষ্টিঃআমি যে তোমার কষ্ট সয্য করতে পারছিনা
আমিঃআমার জিবনে,, শুধু কষ্ট পেয়ে আসছি, কিন্তু কয়েকটা মাস তোমার।মতো একটা ভালো মনের মানুষ পেয়েছি,,এতেই আমি ধন্য,
বেচে থেকে হয়তো তোমার মতো একটা ভালো মেয়েরর সাথেদেখাা করিয়ে দিলো,
তুমি দূঃখ পেয়ে না,
বৃষ্টিঃআমি একদম পচা
আমিঃনা তুমি অনেক ভালো, পচা কেনো হবে
বৃষ্টিঃআমি যদি ভালোই হতাম তাহলে তুমি আমার কথা তে রাজি হতে, কিন্তু রাজি হও না,
আমিঃআমার না খুব কষ্ট হচ্ছে কথা বলতে পারছি না, তুমি ভালো থাকো বায়,
বৃষ্টিঃকি হয়েছে তোমার, জনি
আমিঃ---------
বৃষ্টিঃজনি জনি, কি হলো তোমার বল আমাকে
আমিঃব্যাথার কারনে কথা বলতে পারছি না,
বৃষ্টিঃকি হলো জনি, কথা বলো, কথা বলো না কেনো,
আমিঃব্যাথার কারনে আমি থাকতে পারলাম না
জুরে চিতকার দিয়ে
কি হলো আর মনে নাই,
বৃষ্টিঃজনির চিতকার শুনে পাগল এর মতো ফোনে জনিকে ডেকেই চলছে, কিন্তু জনি আর কোন কথা বলে না,
বৃষ্টিঃজনির কিছু হলো না তো আবার,
No comments