গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ৮)
৮ম পর্ব
৭ম পর্বের পর থেকে......
অনামিকা:আপনি কে আর আমাকে থাপ্পর মারলেন কেনো,
বৃষ্টিঃ আপনি কোন সাহসে জনির হাত ধরেন,
অনামিকাঃআমি জনির হাত টা দরতেই পারি, তাই বলে আপনি আমাকে থাপ্পর মারবেন,
আমিঃআচ্ছা সরি, আমি বৃষ্টির হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি, মাপ করে দেন বৃষ্টিকে,
বৃষ্টিঃতুমি মাপ চাইলে কেনো,এমন মেয়ে না জানি আর কারো ঘরে না হয়,,
অনামিকাঃআপনি জনির কে হন,
বৃষ্টিঃকি মনে হচ্ছে আপনার,
আমিঃবৃষ্টি কথা না বারিয়ে চলো, এখান থেকে,
বৃষ্টিঃহুম দুজনে তখন সেখান থেকে চলে আসলাম,
বৃষ্টিঃএই সেই মেয়ে তাহলে, ডাক্তার হবার পর তোমাকে,
আমিঃহুম,,
বৃষ্টিঃদেখতে ভালো কিন্তু এমন যে, তার মন,,
আমিঃবৃষ্টি তুমি বাসায় চলে যাও কেমন, আমি ও চলে যাই,
বৃষ্টিঃআচ্ছা, ভালো মতো যাবা কোন রকম সমস্যা হলে, আমাকে জানাবা,
আমিঃওকে, দুজনে দুজনার বাসায় যেতে লাগি,,
আমি আমার বাসার দিকে হাটা দরি,
তখন আবার কেউ আমার হাত টা টেনে দরে,
হাতের পর্শ পেয়ে বুঝলাম এটা কার হাত
আমিঃআপনি আবার কেনো,আবার কি কোন কষ্ট দিতে এসেছেন,
অনামিকাঃআমি তোমার সাথে বড় একটা অন্যায় করেফেলেছি,তার জন্য আমি অনেক কষ্টে আছি,
আমিঃকই আপনি তো তেমন কিছু করেন নাইই আমার সাথে
অনামিকাঃতুমি চলো আমার সাথে তোমাকে আমি, বিদেশে ভালো ডাক্তার দেখাবো,
আমিঃআপনার বাসার সবাই কেমন আছে,
অনামিকাঃআগে আমার কথার উত্তর দাও,
আমিঃকি উত্তর দিবো,
অনামিকাঃআমার জন্য আজ তুমি মূত্যুর পথে, আমি তখন বুঝিনাই,
তুমি এতোটা কষ্ট।করে আমাকে চাকরি টা নিয়ে দিয়েছে,,
আমিঃআরে সমস্যা নাই,,আপনি ভাল মতো ডাক্তার হয়ে সবাই কে সেবা করেন,,
অনামিকাঃআমি তোমাকে আমার বাসায় নিয়ে যেতে চাই,
আমিঃআমি একটা হাসি দিয়ে অনামিকার কাছ থেকে চলে আসলাম,
,অনামিকাঃতুমি আমার সাথে চলো
আমিঃআমি তো একটা সাধারন ছেলে,,
আপনার বাড়িতে গিয়ে কি করবো,
অনামিকাঃতুমি এখন আমার সব,
আমিঃএকটা হাসি দিলাম,,
যেদিন সত্যি আমায় বুঝবে
তখন কেদে বলবে অনেক ভালবাসি তোমার
আজ সেই কাজ টাই আপনি করলেন,
এতোদিন একবারো আমার খুজ নেন নাই,আজ আবার ফিরে পেতে চায় আমাকে
অনামিকাঃকি হলো আমার কথার উত্তরনা দিয়ে কই চলে যাও
আমিঃজিবনে বড় হতে গেলে অনেক দূঃখ কষ্ট করে বড় হতে হয়,
আমি ৪ টা বছর এতোটাই পরিশ্রম করছি,
সবাই নিজের জন্য পরিশ্রম করে, কিন্তু আমি আপনার জন্য করেছি,
যাতে আপনি একটা ভালো কিছু করতে পারেন,
আপনার কাজ শেষ হবার পরে আমাকে ছুরে ফেলে দিলেন,
তারপর থেকে যেহেতৃ এখনো বেচে আছি,
যতদিন বাচবো ততদিন আর কারো কোন দাযিত্ব চাই না,,,আর আমার দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে চাই না,
অনামিকাঃআমি তোমাকে আর কোন কষ্টট পেতে দিবো না,,তুমি আমার সাথে চলো,,
আমিঃআপনি এখন আমার কেউ হন না, আর আপনি আমার সাথে কথা বলবেন না,,আপনি আপনার মনের মতো ছেলেকে খুজে নিবেন যে আপনাক আপনার টাকা কে ভালবাসবে,,
অনামিকাঃপ্লিজ জনি,
আমিঃমানুষ টাকার নেশায় বদলে যায়,কিন্তু এতোটা বদলাবে আমি জানতাম না।
অনামিকাঃআমি সরি
আমিঃআপনার এই সরি তে আমি আর বাচতে পারবো না,,আপনি নিজেই একটা ডাক্তার নিশ্চয় আপনি আমার কাছে এসেছেন ডাক্তার এর কাছ থেকে সকল কিছু জেনে,,এসেছেন,
যে আমি আপনার জন্য, কি করেছি না করছি,,
কিন্তু আপছুস আপনি অনেক দেরি করে এসেছেন,
অনামিকাঃআমি তোমাকে ভালো করে তুলবো,
আমিঃআপনি চলে যান, আর আমি আপনাকে চিনি না,আপনি আমাতে চিনেন না, সো, দুজনের জন্য ভালো
অনামিকাঃ
আমিঃঅনামিকার কাছ থেকে চলে আসলাম
অনামিকা আপনি কেমন তা আমার জানা হয়ে গেছর।
৩ বছরে যেটা জানতে পারি নাই সেটা ৬ মাসে জেনে গেলাম
ভালোবাসা জিনিস টা একা কারো জিবনে আসে না, নিয়ে আসে সুখ দুঃখ কষ্ট বেদনা,
আজ আমি খুব কষ্ট পাচ্চি,,
কিন্তু সেই কষ্ট টার কেমন জালা কেমন বিষ আপনি অনুমান করতে পারেন না,
শুধু পারেন প্রয়োজন শেষে ছুরে ফেলে দিতে,
কথা বলাতে প্যাটে সমস্যা হচ্ছে,
বসায় এসে আমার রুমের কাছে যাবো,
রিয়াঃতোমাকে আর কাজ করা লাগবেনা,
আমিঃআমার মতো রুমে যাই,
রিয়াঃকথাটা শুনো নাই,
আমিঃআমাকে বলছেন
রিয়াঃহুম তোমাকে বলছি,
আমিঃজি বলুন,
রিয়াঃতোমাকে আর চাকরি করা লাগবেনা
আমিঃআমার এতো টাকাকা নাই যে আমি বসে বসে থেতে পারবো,
রিয়াঃতোমার চিকিৎসার জন্য আমি সব দিবো,
আমিঃযতদিন আমার দেহে আছে প্রাঁন ততদিন, কারো কাছে থেকে টাকা নিবো না, মরে গেলেও না
রিয়াঃতোমার যে সমস্যা তাে কারন হলাম আমি,, তাই আমি তোমাকে চিকিৎসা করাবো
আমি অন্য কারো টাকা তে চিকিৎসা হবো না,আর আমি ঠিক আছি এখন
রিয়াঃসরি মাপ করে দাও আমাকে,,
আমিঃআমি তো আপনাকে মাপ সেই কবে করে দিছি,
রিয়াঃতাহলে আমার সাথে কথা কেনো
বলো না
আমিঃকই বলি তো, যদি যা বলতাম তাহলে এতোক্ষন কার সাথে কথা বলতাছি,
রিয়াঃপ্লিজ চলো আজকে তোমাকে ডাক্তার এর কাছে,
আমিঃআমি ডাক্তার তো দেখিয়েছি,
আর ডাক্তার দেখানো লাগবেনা,
রিয়াঃপ্লিজ
আমিঃদরজা খুলে বিতরে যাইই গিয়ে দরজা আটকিয়ে দেই,,
তারপরের দিন,
অফিসে কাজ করতাছি,
বৃষ্টিঃআজ দেখছি শুধু কাজ করতাছো অন্য কোনো দিকে তাকাও না জে
আমিঃম্যাডাম এর বকা আর শুনতে মন চায় না
দেখনা সবাই একটু বুল করলে কিছুনা, আমি বুল করলে শেষ, আর পায় কে,
বৃষ্টিঃবুঝিনা ম্যাডাম ক্যানো তোমার সাথে এমন করে,কিসের জন্য করে,
আমিঃআমি জানিনা কিসের জন্য এমন করে ম্যাম,
ম্যাডামঃআপনার দেখছি সেই কখন থেকে কথা বলে যাচ্ছেন, কাজ করেন, কথা না বলে
বৃষ্টিঃওকে ম্যাম
এবাবে ২ মাস চলে গেলো,
এই, ২ মাস ম্যাডাম আমাকে ব্যাতোন দেয় নি,,
যার জন্য নিয়মিত ঔষধ ও খাইতে পারি নাই,
যার ফলে আমার অবস্থা হয়েছে , অনেক খারাপ,
২ মাস শেষে,,
আমিঃম্যাডাম আসতে পারি,
ম্যাডামমঃহুম আসুন,
আমিঃএই নিন ম্যাডাম ফাইল গুলো,
ম্যাডাঃহুম নিয়ে দেখতে লাগলো,
অনেক ক্ষন ভালো করে দেখার পর,
ম্যাডামঃ২ মাস এর মধ্যে দেখছি বুল নাই,,কোন ফাইল এ,আচ্ছা ভালো তো
আমিঃম্যাডাম,
ম্যাডামঃহুম বুঝেছি বেতন লাগবে তাই তো,
আমিঃনা ম্যাডাম আমার বেতন লাগবে সা,
ম্যাডামঃতাহলে
আমিঃআমি আর চাকরি করবো না,, কাল থেকে আর আসবো না,
ম্যাডামঃকেনো কিসের জন্য হৎাত করে, চাকরি ছেড়ে দিবে মানে
আমিঃনা ম্যাডাম এমনি,
ম্যাডামঃবেতন দেই নি তাই জন্য চাকরি ছারতাছেন
আমিঃনা ম্যাডাম এই জন্য না, আমার পারসোনাল সমস্যার জন্য
ম্যাডামঃকি পারসোনাল সমস্যা জানতে পারি
আমিঃনা ম্যাডাম, আর আমি যদি কোন সময় আপনার সাথে খারাপ আচরন করেরে থাকি,বা আমার কথাতে যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে মাপ করেরে দিবেন।আর আমর সমস্যা জেনে আপনার কোনন লাভ হবে না।
এটা বলে ম্যাডামের রুম থেতে চলে আসলাম,,
ম্যাডাম আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো,
ম্যাডামঃকি হলো এটা এমন করে চাকরি ছেড়ে দিলো কেনো,
আমিঃবৃষ্টি
বৃষ্টিঃহুম
আমিঃভালো থাকবে,আর মনে হয় না দেখা হবে যদি দেখা হয় তাহলে তো ভালোই আর না হলে কিছুই করার নাই,আমার কপার এর দোষ,
বৃষ্টিঃএমন কথা বলতাছো কেনো,
আমিঃআজ চাকরি টা ছেরে দিলাম,
বৃষ্টিঃকেনো,
আমিঃচলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়ে তাই ভালো থাকো,,
এটা বলে অফিস, থেকে বাহির হয়ে আসলাম
নিচে এসে হাতটে লাগলাম
বৃষ্টিঃজনি তোমার সাথে কথা আছে
আমিঃম্যাডাম তোমাকে তো বকা দিবে কাজ ফেলে আসার জন্য,
বৃষ্টিঃদিলে দেক সমস্যা নাই,আগে বলো তুমি কেনো চাকরি ছাড়লে
আমিঃশার্ট টা একটু তুলে,
২ মাস যাবত এই ক্ষত টার যা মেডিসিন লাগে সেগুলো একটা ও খাই নি,,
তাই এখন আমি অনেক অসুস্থ, চলাফেরা করতে সমস্যা হয়,, হাটলে রক্ত পড়ে , আর রত্ত পড়া শুরু হলে বন্দ হয় না,,
আর আমার পক্ষে অফিসে আসা সম্ভব হয় না, যে,
তাই রিজাইন দিলাম,
বৃষ্টিঃএক দেনে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
আমিঃতুমি ভালো থাকো , আর যাকে তুমি তোমার জিবন সঙ্গি করে পাবে,,তার কথা অবাধ্য হবে না,
মনে রাখবা,
একটা মেয়ে যদি স্বামির মনের মতো না হয় তাহলে সেখানে বেশি সময় ভালবাসা থাকে না,
মনে রাখবা,
ছেলেরা চায় তার মনের মতো মেয়ে, যাকে মনের মতো করে ভালবাসবে,
সেও ভালবাসবে মনের মত করে,
আমার কথা মনে করো না,,আমি যেখানে থাকিব খুব ভালো থাকবো,
তোমার কথা খুব মনে পড়বে
কেননা আমার জিবনে তুমি একমাত্র মেয়ে যে আমার সাথে তুমি কোন অহংকারি করো নাই,,অপমান করো নাই,,কোন রকম খারাপ কিছু করো নাই,,
তুমি অনেক ভালো থাকো,,
বৃষ্টিঃতোমার কথা শুনে খুব কান্না পাচ্ছে আমার,
আমিঃআরে কেনো শুধু শুদু কান্না করে চোখের জল নষ্ট করতাছো,
বালো থাকো,
এটা বলে আমি সেখান থেকে চলে আসলাম
বৃষ্টি আমাকে এতোদিনে ভালবেসে ফেলেছে,
আমি সেটা জানি
কিন্তু এতে আমার যে কিছু করার নাই,
শুধু শুধু একটা সুন্দর ভালো মেয়ে জিবন নষ্ট করে কি হবে,
আমি চাইনা আমার জন্য কারো সমস্যা হোক,
আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই
তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি আমার পাশে দাড়িয়ে ওপরের কথাটি বললো,
আমিঃহুম বলো, কি কথা, আর এমন হাপাচ্ছো কেনো,
বৃষ্টিঃদেখো অনেক বার বলতে চেয়েও তোমাকে আমি বলতে পারি নাই কথা টা,
আমিঃহুম বলো কি কথা,
বৃষ্টিঃআমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি,বিশ্বাস করো,
আমিঃতোমার সামনে সুন্দর একটা উজ্জল ভবিষ্যত,
আর আমি জানতাম তুমি আমাকে ভালবাসো,
আমি আর মাত্র কয়েক টা দিন বাচবো কিন্তু তুমি আরো অনেক দিন বাচবে,,
আর আসল কথা হলো আমি বিবাহিত ছিলাম,এটা তুমি জানো,
বৃষ্টিঃআমি সব জানি আর তুমি আমাকে সবব বলছো
আমিঃবৃষ্টির মাথায় হাত টা রাখলাম
তুমি অনেক ভালো মেয়ে দেখবে তোমার জিবনে অনেক ভালো একটা ছেলে আসবে,,
আর
আমি জানি তুমি আমার কথায় কষ্ট পাবে,
কিন্তু এটাও সত্যি যে আমাকে তুমি ভালোবাসো, সেটা আমাকে না জানালে তুমি ভালো থাকতে না,
তাই সেটা আজ প্রকাশ করলা,
খুব ভালো করছো,
কিন্তু আমার ভালবাসা যে আজ তোমার ভালবাসার কাছে হার মেনে যাবে,,
তুমি ভালো থাক,,
বায়, আর জাও অফিসে ম্যাডাম না হয় বকা দিবে তোমাকে,
বৃষ্টিঃকথা বলতে চেয়েও বলতে পারলো লা,,
আমিঃআমার মতো করে চলে আসলাম,
আমার রুম খুলা দেখে অভাক হলাম,
আর রুমের সামনে গিয়ে আরো বেশি অবাক হলাম
wait for nxt par
No comments