গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ২)
২য় পর্ব
১ম পর্বের পর থেকে
তারমানে মেয়েটা কোন কিছু দিয়ে আঘাত করছে যার কারনে মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে,,
হাত দিয়ে মাথা টা চেপে দরলাম,,
দরে বাসার নিচে আসলাম,
দেখি রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে,তাই রুমাল টা বাহির করে রক্ত মুছে ফেলে দিলাম,
আর অফিসে যেতে লাগলাম,
ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি আর মাত্র কয়েক মিনিট সময় আছে,যে কয়েক মিনিট সময় আছে তার মধ্যে অফিসে যাওযা সম্ভব না,
২০ মিনিট লেট হলো,
গিয়ে আমার জায়গায় বসা মাত্র,
পিয়নঃআপনাকে ম্যাডাম ডাকছে,
আমিঃওকে,,এটা বলে ম্যাডাম এর কাছে যাই,,
আমিঃআসতে পারি ম্যাডাম,
ম্যাডামঃহুম আসুন,,।
আমিঃম্যাডাম সরি, লেট হওয়ার কারনে,
ম্যাডামঃ shut up, কিসের জন্য লেট হলো,,
আমিঃনা মানে ম্যাডাম,
ম্যাডামঃআমাদের অফিমে কেউ দেরি করে আসে না, আর আসলে তার বেতন থেকে টাকা কেটে রাখা হয়,
এর পর থেকে যদি আপনি দেরি করেন তাহলে আপনার বেতন থেকে টাকা কেটে রাখা হবে,,
আমিঃআর হবে না ম্যাডাম,
ম্যাডামঃএই নিন ফাইল এগুলো গিয়ে করেন,,
আমিঃম্যাডাম এর কাছ থেকে নিয়ে আমার কেবিন এ এসে পড়লাম,
একটা মেয়েঃআপনি কি এখানে টেনেসপার হয়ে আসছেন,
আমিঃহুম,
মেয়েটাঃখুব ভুল করছেন এখানে এসে,
আমিঃআমি তো ইচ্ছা করে আসি নি, আমাকে এখানে
মেয়েটাঃবলা লাগবেনা, বুজেছি,
আমিঃবসতে পারি কি তাহলে আমি,
মেয়েটাঃহুম বসেন আপনার জায়গা আপনি বসবেন না তো কে বসবে,,
আমিঃআপনাকে তো গতকালকে দেখলামম না,
মেয়েটাঃআমার নাম বৃষ্টি, আমি আপনার সমবয়সি , সো নাম দরে ডাকলে খুশি হবো,,
আমিঃনা মানে,
বৃষ্টিঃআমি এখন আপনার কলিগ,আপনার এই পাশের ছিট টা আমার, কেবিন,
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে,,
বৃষ্টিঃনাম দরে ডাকবে তো,
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে,,
বৃষ্টিঃম্যাডাম আসতাছে কাজ করেন,না হলে বকা খেতে হবে,
আমিঃআচ্ছা, এটা বলে কাজ করতে লাগলাম,
ম্যাডামঃএটা আড্ডা খানা না যে, এখানে বসে বসে আড্ডা দিবেন,
বৃষ্টিঃম্যাডাম একটু হেল্প করছি লাম,,মিঃ.জনি কে.
ম্যাডামঃএর পর আর যাতে না দেখি,
এটা বলে চলে গেলো,
আমিঃআচ্ছা বৃষ্টি ম্যাডাম।এমন কেনো, শুধু বকা ঝকা করে,
বৃষ্টিঃতুমি ভুল করেও যাতে দেরি করে আসবানা অফিসে, তাহলে তোমার বেতন থেকে, একদিন দেরি করলে ২ হাজার টাকা কেটে নিবে,
আমিঃআচ্ছা,,ঠিক আছে,
কাজ করতে থাকলাম,
লাঞ্চ টাইম এর সময়, সবাই খাবার জন্য যাচ্ছে,
বৃষ্টিঃচলেন লাঞ্চ করে আসি,
আমিঃআপনি যান, আর আমি দুপুরে কিছু খাই না,
বৃষ্টিঃআচ্ছা আজকে খাবেন চলুন,
আমিঃনা আমার একটা প্রবলেম আছে আপনি যান,
বৃষ্টিঃওকে,,এটা বলে বৃষ্টি চলে গেলো,,
আমি মাথা টা নিচু করে, রইলাম,
অনামিকাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে,
এই ৩ টা বছরে খুব ভালবেসে ফেলেছিলাম,
আজ অনামিকা প্রতিষ্ঠিত,
৩ টা বছর কতো টা কষ্ট করেছি অনামিকার জন্য, আর সেই অনামিকা
আজ বড়ো হয়ে, আমাকে ছুরে ফেলে দিলো,
কপাল টাই খারাপ আমার,
ম্যাডামঃআপনি লাঞ্চ করতে গেলেন না,,
আমিঃনা ম্যাডাম,
ম্যাডামঃতাহলে সাথে এই ২ টা ফাইল কাজ করে, আমার কাছে নিয়ে যাবেন,
আমিঃম্যাডামের দিকে একবার তাকিয়ে, ফাইল টা হাতে নিলাম,,
নিয়ে কাজ গুলো তরতে লাগলাম,,
অফিস ছুটির সময়,
বৃষ্টিঃমি.জনি বাসায় যাবেন না,,
আমিঃহুম জাবো তো,
বৃষ্টিঃতাহলে বসে আছেন কেনো ওঠেন,,
আমিঃএই ফাইল টা বাকি আছে কিছু কাজ,,
বৃষ্টিঃকালকে করবেন, নি,,
আমিঃনা সাথে নিয়ে যাই, বাসায় গিয়ে কাজ করবো,,
বৃষ্টিঃওকে তাও করতে পারেন
আমিঃচলুন তাহলে এখন,,
বৃষ্টিঃচলুন তাহলে, যাওয়া যাক,
আমিঃহুম,
বৃষ্টিঃকালকে দেখা হবে,কেমন, আজকে যাই,,
আমিঃওকে,,
এটা বলে আমি একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসি,,
গ্রেট দিয়ে ভালো মতো করে ডুকলাম যাতে, আবার বাড়ি ওয়ালার মেয়ের সাথে দাক্কা না লাগে,
গ্রেট পারি হয়ে দেখি কেউ নাই,,দিরে দিরে সিরি বেয়ে, আমার রুমের কাছে যেতে লাগলাম,
ছাদ ওঠে দেখি,, মেয়েটা ছাদের এক কোনায় বসে আছে,,আমি মেয়েটার দিকে না তাকিয়ে, তালা টা খুলে, রুমের ভিতরে গেলাম,,
গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, হালকা কিছু খেয়ে নিলাম,
নিয়ে বিছানায় বসে,, রয়েছি,
তখন কেউ দরজা দাক্কানোর আওয়াজ পাই,,
দরজা খুলে দেখি,,
বাড়িওয়ালা আংকেলঃ
আমি আংকেল আপনি,,
আংকেলঃকি করতাছো,,
আমিঃকিছুনা এই একটু বিশ্বাম নিচ্ছিলাম,,
আংকেরঃ রিয়া যে ভুল গুলো করে, তার জন্য কিছু মনে করো না,
আমিঃরিয়া কে আংকেল,
আংকেলঃআমার মেয়ে, রিয়া, ওর ব্যবহারে কিছু মনে করো না,,ওর অনেক রাগ,
আমিঃকি যে বলেন না, আংকের,আমি কি মনে করবো,,
আংকেলঃওকে থাকো তাহলে আমি যাই,
আমিঃওকে,
আমি তখন ফাইর টা হাতে নিয়ে, কাজ করতে লাগলাম,
শেষ হলেই সুয়ে পড়লাম,
সকালে ঘুম থেতে ওঠে,
রান্না করতে লাগলাম,
একা থাকতে থাকতে রান্না করাটা শিখে ফেলেছি,,
চুলায় তরকারি রেখে ওয়াশ রুমে যাই,,
গিয়ে ফ্রেশ হইতে থাকি,
ওয়াশ রুম থেকে কোন কিছুর একটা শব্দ পাই,,
তারাতারি, তখন ওয়াশ রুম থেকে বাহির হই,,
বাহির হয়ে দেখি,,তরকারির পাতিল, জুরে আছার মেরেছে
যার কারনে মেঝে তে সব পড়ে গেছে,
আর পাতিল টা চ্যাপটা হয়ে গেছে
আমিঃএটা কি করলেন,
রিয়াঃতুই রান্না শেষ না করে, ওয়াশ রুমে কেনো গেছিলি,,
আমিঃতাই বলে এমন অবস্থা করবেন,,
রিয়াঃদাড়া এটা
বলে ভাতের পাতিল টা দরে জুরে আছার মারলো,
আমিঃকি করলেন আবার এটা,,
রিয়াঃবেশি তর্ক করবিনা আমার সাথে,
আর রান্না শেষ না করে, যে গেছিলা,,তরকারি পুরার কারনে পুরা পুরা গন্ধ, ছড়িয়ে পড়েছিলো,আর সেই কারনে আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছে তাই এমন করছি,,এর পর থেকে যেনো এমন, কিছু না ঘটে, তাহলে তোর অবস্থা এমন করবো,,
আমিঃমাথায় হাত দিয়ে, রইলাম,
রিয়া চলে গেলো,,
তারাতারি মেজো পরিষ্কার করতে লাগলাম,
অফিসে দেরি হলে,, ম্যাডাম আবার কি না কি করে,,
মেজো পরিষ্কার করে,,
না খেয়েই অফিসের উদ্দেশ্যে বাহির হলাম,
পেটে ব্যাথ্যা হচ্ছে,,খুব,,
আজকেও লেট হলো, অফিসে যেতে,,
ম্যাডাম কতোগুলা জারি মারলো,,
আর ২ হাজার টাকা কেটে রাখলো,,
বেতন থেকে,
আমি গিয়ে আমার জায়গায় বসলাম,
বৃষ্টিঃকিসের জন্য দেরি হলো,,
আমিঃনা তেমন কিছু না,, আমারর কপাল টা ভালো, তাই এমন হয়,
বৃষ্টিঃকেনো কেনো,
আমিঃএমনি,
এটা বলে মন মরা হয়ে কাজ করতে লাগলাম,
আমিঃম্যাডাম কি আগে থেকে এমন,
বৃষ্টিঃহুম, আমি যখন এই অফিসে জব নেই তখন থেকেই তো দেখছি,,
আমিঃওহহহহ,আচ্ছা বৃষ্টি,এই যে আজকে টাকা টা কেটে নিলো আমার থেকে,,এটা কি আর দিবে না,
বৃষ্টিঃকাজ ঠিক মতো করলে দিয়ে দেয়,,আর এই অফিসে কেউ লেট করে আসে না,,
তুমিই শুধু আসো,,
আমিঃওহহহহ,,
বৃষ্টিঃকাল থেকে ঠিক টাইম এ আসবে,,
আমিঃহুম,,
ছুটির সময়,,
ম্যাডামঃমি.জনি কাল থেকে যদি আপনার আসতে লেট হয়, তাহলে, মনে রাখবেন আপনার অনেক সমস্যার সমূখী হতে হবে,
আমিঃজি ম্যাডাম,,
বাসায় এসে পড়ি,,
খুব অনামিকার কথাটা মনে পড়ছে,,
জানিনা এখন অনামিকা কেমন আছে,
কোন কারনে যে অনামিকা আমার সাথে এমন করলো,, কিসের জন্য,,
অনামিকা আজ খুব, ভালো আছে,হয়তো আমাকে তারর আর কোন প্রয়োজন নাই,,
আমার যতটুকো প্রয়োজন ছিলো অনামিকার কাছে সেই টুকু আদায় করে নিয়ে, আমাকে আজ একা করে দিয়েছে,,
অনামিকা তুমি যেখানেই থাকো ভালো থাকো, আমি চাই তুমি ভালো থাকো,
কষ্টে ভুক টা ফেটে যাচ্ছে,,
কোথাও একটু ও শান্তি মতো বসতে পারি না,
অফিসে ম্যাডাম।,,বাসায়, রিয়া,,
কোথাই যাই,আমি,,,
কয়েক দিন পর
আজ অফিস টা বন্ধ
বিকালে ছাদের এক কোনায় বসে রয়েছি,,
মাথায় একটা ডিল এসে লাগলো,
তাকিয়ে দেখি,যে রিয়া,
আমিঃকিছু বলবেন,,
রিয়াঃআপনি ছাদের কোন জায়গায় বসবেন না,ওকে,,
আমিঃনা মানে, রুমের ভিতর ভালো লাগে না তাই,এখানে একটু বসছি,এখানে বসলে একটু ভালো লাগলো,,প্লিজ কিছু মনে নিয়েন না,,
রিয়াঃযাবি এখান থেকে,,দাক্কা দিয়ে,
দাক্কার কারনে আমার এক হাত একটা ফুল গাছের সাথে লাগলো,গাছ টা নষ্ট হয়ে গেলো,
রিয়াঃতুই আমার ফুলের চারাটা নষ্ট করলি কেনো,,
আমিঃআমি তো ইচ্ছা করে করি নি,
রিয়াঃদুম করে একটা আমার পেটে ঘুশি মারলো,,
গুশি টা গিয়ে আমার ক্ষত স্থানে লাগলো,,
কয়েক মিনিট এর জন্য নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিছিলো আমার,
রিয়াঃগুশি মেরে চলে গেলো,
আমিঃদিরে দিরে আমার রুমে আসলাম এসে, ক্ষত স্থানে দেখি, রক্ত পড়তাছে,
ডাক্তার বলছিলো এখানে যাতে কোন আঘাত না লাগে, আজ কতো বড় একটা আঘাত পেলাম এখানে,
ব্যাথা শুরু হলো, এখানে,,খুব ব্যাথ্যা থামছেই না ব্যাথ্যা টা,, কি করি,,
রাত ৮ টা সময়, বিছানায় সুয়ে রয়েছি, ব্যাথায় চোখ দিয়ে, পানি পড়ছে,,কান্না করতে পারছি না,।
ফোন টা দেখি বেজে চলে চলেছে,,
হাতে নিয়ে দেখি,আননোন নাম্বার,
আমিঃহ্যালো,
আপনি কি জনি
আমিঃহ্যা আপনি কে,,
আমি ডাক্তার, --------------আপনি তো ১ টা কিডনি বিক্র করেছেন তাই না
আমিঃহ্যা,,
ডাক্তারঃআপনি আমাদের এই খানে আইসেন,, আপনার সাথে কথা আছে,
আমিঃওকে,,
তারপরের দিন,,
অফিসে গেলাম ঠিক টাইম এ
ম্যাডামঃআপনাকে যে কয়টা কাজ দিয়াছি করছেন কি,
আমিঃজি ম্যাডাম
ম্যাডামঃদিন তাহলে,
আমি ফাইল গুলো ম্যাডাম।এর কাছে দিলাম,
ম্যাডাম ফাইল গুলো দেখেআমার দিকে অগ্নিময় ময় দৃষ্টিতে তাকালো,
ম্যাডামঃফাইল দেখা শেষে,
আমার কাছে এসে আমার,,,, ----------;;;-;
Wait for next part and follow us
No comments