গল্পঃ অহংকারী ৩টা মেয়ে (পর্বঃ৬)
৬ষ্ঠ পর্ব
৫ম পর্বের পর থেকে........
ওপরে গিয়ে রুমের কাছে যেতেই
আমি অভাক হয়ে যাই,
কেননা আংকেল আর রিয়া দুজনে দাড়িয়ে আছে আমার রুমের দরজার সামনে,
আমি দিরে দিরে সামনে যেতে থাকি,,
আংকেলঃএতো দেরি হলো যে তোমার,
আমিঃনা মানে কাজ ছিলো বেশি অফিসে তার জন্য,
আংকেলঃওহহহ,
আমিঃকিছু বলবেন আংকেল,
আংকেলঃনা তেমন কিছু না,,
আমিঃওহহহ,,
আংকেলঃতুমি ফ্রেশ হও কেমন,
আমিঃওকে আংকেল,
আংকেল চলে গেলো,
আমি তারা খুলে ভিতরে গেলাম,
রিয়াঃআমাকে ক্ষমা করা দাও,,
আমিঃকিসের ক্ষমা,
রিয়াঃতোমার সাথে যে অন্যায় করছি তার জন্য,
আমিঃহেসে দিলাম, রিয়ার কথা শুনে,
রিয়াঃহাসো কেনো,
আমিঃআমি তো একটা সামান্না মানুষ,, তার কাছে আপনি ক্ষমা চাচ্ছেন,আপনি কোথায় আর আমি কোথায়,
রিয়াঃপ্লিজ আমাকে
ক্ষমা করে দাও আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করছি,
আমিঃআমি আপনার ওপর তো রেগে নেই তাহলে ক্ষমা করবো কেমনে,
রিয়াঃআমি এতো দিন যাবত যা অন্যায় করছি তুমি সয্য করেছে, সেগুলোর জন্য মাপ চাই প্লিজ,,
আমিঃআমি একটা রিকয়েক্ট করতে পারি, রাখবেন,
রিয়াঃহুম রাখবো, (খুশি হয়ে)
আমিঃআমি এখন ফ্রেশ হবো,আপনি প্লিজ এখান থেকে যান,,
রিয়াঃনা আমি যাবো না,
আমিঃপ্লিজ, আর আমি আপনার ওপর রেগে নেই,
রিয়াঃওকে, যাচ্ছি,,
এটা বলে চলে গেলো,
আমি বিছানায় সুয়ে পড়লাম খুব ব্যাথ্যা করতাছে,পেটের ভিতর,
সুতে গেলে অনামিকার চেহারা বেসে ওঠে,,
খুব ভালবেসে ফেলেছি লাম,
কিন্তু অনামিকা যে আমার সাথে এমন করবে, তা যানা ছিলো না,
এখনো ভালবাসি, কিন্তু সেই ভালোবাসার আর দাম হবে না,অনামিকা যদি সব জেনে গিয়ে আমাকে ফিরে পেতে চায়, তাহলে ও যে আর হবে না,,
আমি সব সময় চেয়েছি অনামিকা যাতে ভালো থাকে,,
সেই বিয়ে হবার পর থেকে একটুও কষ্ট পেতে দেই নি অনামিকা কে,
বেশি আগলে রেখেছিলাম তাই আজ আমার এমন অবস্থা,,
মাথা টা ব্যাথ্যা করছে,
প্যাটের ভিতর অনেক ব্যাথ্যা হচ্ছে মনে হচ্ছে এখনি, মরে যাবো,,
আল্লাহ এতো টা কষ্ট হচ্ছে যে, চোখ দিয়ে অবনত পানি পড়ছে,
আজ চোখেঁর জলে এমন করে কাদতে হচ্ছে,,
কোন দিন একটু ও কারো ভালবাসারর আদর পেলাম না,
কপাল টাই খারাপ আমার,
--------- -----------
,,
সকালে ঘুম থেকেকে ওঠে
আস্তে আস্তে ওঠে বসলাম,
মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখি,,
৭ টা বাজে,
১০৯ টা মিস কল ওঠে রয়েছে,
সব গুলা একি নাম্বার থেকে করা রয়েছে,
জানিনা কে ফোন করেছে,,
দিরে দিরে ওয়াশ রুমে গেলাম
গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে রেড়ি হয়ে অফিসে, যায়ার জন্য রেড়ি হই,
রেড়ি হয়ে,
দরজা খুলে দেখি রিয়া দাড়িয়ে আছে,
আমিঃকিছু বলবেন,
রিয়াঃরাতে ওমন করে চিতকার করলা কেনো,
আমিঃসরি আর দিবো না, ভুল হয়ে গেছে,,
রিয়াঃআমি তোমাকে কতোবার ডেকেছি দরজা খুলো নি কেনো,
আমিঃসরি আমি শুনতে পাই নাই,শুনলে খুলতাম,
রিয়াঃমিথ্যা কেনো বলো,
আমিঃআমি কোন সময় মিথ্যা কথা বলি না,,
রিয়াঃতাহলে রাতে কেনো দরজা খুলোনি
আমিঃশুনলে ঠিকি খুলতাম,
আমি যাই আমার লেট হয়ে যাচ্ছে,এ
এটা বলে চলে আসলাম রিয়ার সামনে থেকে,
রিয়াঃদাড়াও বললি,
আমিঃকি বলেন
রিয়াঃরক্ত কেনো তোমার শরিরে, বেয়ে বেয়ে পড়ছে,,
আমিঃআমার কপাল এমন,, তাই,
রিয়াঃআমি জানি আজ আমারি জন্য তোমার এমন অবস্থা,
আমিঃআপনার জন্য না, আপনার রাগ এর জন্য,,
নিচে এসে একটা রিক্সায় চডে অফিসে যাই,,
যায়ার লগে লগে ম্যাডাম এর ডাক,,
আমিঃজি ম্যাম বলুন,
ম্যাডামঃআজকে কয় মিনিট লেট হয়োছে,
আমিঃ১৩ মিনিট ম্যাডাম,
ম্যাডামঃকেনো লেট হলো,,
আমিঃমাথা টা নিচু করে রইলাম,
ম্যাডামঃআমি যে প্রতিদিন বলি আপনাকে দেরি করলে আপনার সমস্যা,হবে কানে কথা যায় না,
আমিঃসরি ম্যাডাম
ম্যাডামঃযান গিয়ে কাজ করেন,,
আমিঃম্যাডাম এর কাছ থেকে চলে আসলাম,
এসে কাজ করতে থাকি,
বৃষ্টিঃআমি তোমার কোন সাহায্য করতে পারি,
আমিঃনা, আমি ঠিক আছি,,
বৃষ্টিঃতোমার কথা গুলো শুনে আমার কান্না পায় এখনো,,, আচ্ছা তুমি এতো কষ্ট নিয়ে ঘুমাও কেমনে,আমি তো কোন দিন পারবো না
আমিঃআমার জিবনে কোন দিন ওকটু ও সুখ কি জিনিস পাই নাই,
ভাবছিলাম অনামিকা কে চাকরি নিয়ে দিলে একটু সুখ, শান্তি পাবো, কিন্তু আমার এই কপালে সুখ নাই, ত
যদি থাকতো তাহলে অবশ্যই দরা দিতো,
বৃষ্টিঃতোমার পেটে সমস্যা হয় না, চলাফেরা করতে,,নানা কাজ করতে
আমিঃহুম করে তো,, কিন্তু কি বা আর আমার করা আছে,কিছু করার নাই,
শুধু প্যাট ব্যাথার সময় ট্যাবলেট থেলে একটু কমে,,
বৃষ্টিঃওহহ,
আমিঃকাজ করো,ম্যাডাম এসে বকা দিবে,,
বৃষ্টিঃওকে,
বিকালে ছুটির সময়,,ম্যাডাম এর ডাক,,
আমিঃজি ম্যাডাম।
ম্যাডামঃআপনার দেরি করে আসা, কামাই দেওয়া সব মিলিয়ে যত টাকা কেটে নেওয়া হয়েছ,,
সেটা আপনার বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে,আপনি ২ মাস বেতন পাবেন না,
আমিঃনা মানে ম্যাডাম
ম্যাডামঃসারা দিন বললেএ হবে না,
আমিঃবেতন যদি নিয়ে নেন তাহলে আমারর তো না থেয়ে থাকতে হবে,,
ম্যাডামঃসেটা আপনি বুঝবেন আমি না,,
আমিঃম্যাডাম,
ম্যাডামঃযান বলছি,,
আমিঃপিছন গুরে চলে আসলাম,
রাস্থা দিয়ে হেটে চলছি
জানিনা কেমনে আমার দিন যাবে,,
২ মাস মাস বেতন না পেলে তো আমি, খাওয়ার অভাকেই মারা যাবো,
বাসায় এসে পড়লাম,
এসে সুয়ে পড়লাম সুয়ে সুয়ে সবার কথা ভাবছি,,
অনামিকাঃবড় ডাক্তার হয়ে আমাকে ছুরে ফেলে দিলো,,
৩ টা বছর আমার সাথে থাকার পর। এখন বড় ডাক্তার হওয়াতে আমাকে দুরে ঠেলে দিলো
অনামিকা তুমি আজ হয়তো খুব সুখে আছো আমাকে ছেড়ে, আজ আমার এতোটা কষ্ট এতোটা বিপদ,, আরো কতো কি,,
আমি তোমার দুঃখ সময়ে পাশে থাকলাম কিন্তু তুমি আমার পাশে থাকলে না,,
আমি হয়তো আর কয়েক টা দিন বাচবো,,
আমি চাই তুমি সুখে থাকে, তোমার সুখের জন্য কতোটা কষ্ট করে আসতাছি সেই ৩ বছর থেকে,
কিস্তু তুমি আমার কষ্ট টা বুঝার চেষ্টা করছো না
বিছানায় কখন যে সুয়ে পড়ে ঘুমিয়ে গেছি,,জানিনা,
সকালে ঘুম থেকে ওঠে, ফ্রেশ হতে যাই,,
ফ্রেশ হয়ে এসে অফিসে চলে যাই,
অফিস ছুটির সময়, ম্যাডাম এর কাছে যাই
আমিঃম্যাডাম ব্যাতোন টা যদি দিতেন,
ম্যাডামঃআমার কিছুই তরার নাই,,
আমিঃটাকা আমার খুব দরকার
ম্যাডামঃটাকা টাকা টাকা,
কাজ তো করিস ভালো মতো না, আবার বেতন চাস,,
আমিঃম্যাডাম
ম্যাডামঃএর রাগ ওঠে যায়,,তাই হাতের কাছে যা পারে, জনির দিকে ছিরে মারে,
একটা শক্ত কিছু আমার ক্ষত স্থানে আঘাত করে, আমি ক্ষত স্থানে চেয়ে দেখি রক্ত পড়ছে,,
No comments